খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে ভর্তি থাকা ৪ জন রোগীকে করোনা আক্রান্ত নয় বলে ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন ফোকাল পারসন (মুখপাত্র) ডাঃ শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তার কথার উপর ভিত্তি করে ফ্লু কর্ণারের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয় চারজনকে। সেখানে একদিন পরে তাদের করোনা হয়েছে বলে জানানো হয় খুমেক হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে।
এতে করে মেডিসিন ওয়ার্ডের ভর্তি থাকা অর্ধশতাধিক রোগী, চিকিৎসক নার্সসহ শতাধিক রোগীর স্বজন পড়েছে করোনার মারাত্মক ঝুঁকিতে। ইতোমধ্যে ওই ওয়ার্ডের চিকিৎসক নার্সসহ ১০ জনের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন। এমন নানাবিধ কাজের জন্য ডাঃ শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে খুমেক হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে ফোকাল পারসনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে খুমেক হাসপাতালের এক সভায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে চিঠি দিয়ে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু হাসপাতালের নিবন্ধন খাতায় স্পষ্ট ঠিকানা না থাকায় তাকে খুঁজে পেতে বিপাকে পড়ে স্থানীয় প্রশাসন।
প্রথমে জানানো হয়, ওই ব্যক্তি জেলার রূপসা উপজেলার কালীবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু সেখানে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে ওই ব্যক্তির নামের সঙ্গে মিল থাকায় রূপসা উপজেলার এক সাংবাদিকের করোনা আক্রান্তের গুজব রটে। এতে বিপাকে পড়েন ওই সাংবাদিক ও তার পরিবার। পরবর্তী সময়ে প্রকৃত করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান মেলে নগরীর দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশায়। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।