বাগেরহাট খুলনা মোংলা ও গোপালগঞ্জ মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহনে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুন পরিমানে মালামাল ও পন্য সমগ্রী বহন করায় সড়ক ও ব্রীজ গুলি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। জাতীয় মহাসড়ক ও তার উপর নির্মিত ব্রীজ গুলি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এখনি অতিরিক্ত ওজনের মালামাল বহনের উপর নিয়ন্ত্রন না আনলে আগামী বর্ষা মৌসুমে সড়ক ও ছোট বড় ব্রীজ গুলির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
একাধিক সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম দিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ খুলনা-বাগেরহাট ও মংলা সহ বেশ কয়েকটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মহাসড়ক পূনঃ সংস্কারের কাজ শেষ করেন। এর মধ্যে টাউন নওয়াপাড়া ভায়া বাগেরহাট মহাসড়কের কাজ বর্তমানেও চলমান রয়েছে। কিন্তু সেই সমস্ত মহাসড়কে এখন ২২চাকার ট্রেইলার-লংসেল ও ১০চাকা এবং ৬চাকা বিশিষ্ট ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন নিয়মনীতির উপেক্ষা না করে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুন ওজনের মালামাল ও পণ্য সামগ্রী বহন করে আসছে।
যা সম্পূর্ণ বেআইনী। নিয়মানুযায়ী ১টি ট্রাক বা যানবাহনে ২২/২৫টনের বেশি সিমেন্ট পাথর ও অন্যান্য মালামাল পরিবহন করা যাবে না। কিন্তু ট্রেইলার-লংসেল ড্রাম ট্রাক কভারভ্যান ও কন্টিনার সহ অন্যান্য যানবাহনের চালকরা সে নিয়মের কোন তোয়াক্কা করছেনা। যে কারণে সড়ক মহাসড়ক ও ব্রীজ গুলি ভেঙ্গে চুরে ফাটল ধরে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।স্থানীয়রা বলেছেন, বর্তমানে উক্ত মহাসড়কে ২২ থেকে ২৫টনের স্থানে ৪০ থেকে ৪২টন থেকে শুরু করে ৫০টনেরও অধিক ওজনের মালামাল বহন করছে।
যা মহাসড়ক সেতু ও কালভার্ট গুলির জন্য মারাতœক ক্ষতির কারণ। সড়ক মহাসড়কে ওভারলোড যানবাহন গুলি বন্ধ করার দায়িত্ব কার? তা নিয়ে সচেতন মহলে নানান প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা বলেছেন, চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে বাগেরহাট খুলনা মংলা ও গোপালগঞ্জ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসাবে পরিচিত কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডে পূনঃ সংস্কারের কাজ করা হয়। কিন্তু ভারী যানবাহনের কারণে তা এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হচ্ছে।এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা।