সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের কর্মকান্ডে ভেঙ্গে পরছে চেইন অফ কমান্ড। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়কে চাচা পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকে দাবরিয়ে বেরাচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা। উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ভয়ে তাকে সমীহ করে চলছে। সাবেক পুলিশ সুপার এ সহকারী উপ-পরিদর্শককে ক্লোজড করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে নিয়ে যায়। বর্তমান পুলিশ সুপারের দাপটে থানা এলাকায় যা ইচ্ছে তাই করে বেরাচ্ছে গুনধর এ সহকারী উপ-পরিদর্শক হেমায়েত উদ্দিন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ সেপ্টম্বর ২০১৯ইং তারিখে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় যোগদান করে সহকারী উপ-পরিদর্শক হেমায়েত উদ্দিন। যোগদানের পর থেকে সহকারী উপ-পরিদর্শক হেমায়েত উদ্দিন মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে গিয়ে মোটা অংঙ্কের সামারি করে আসছে। বিশেষ করে বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়কে চাচা পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকে দাবরিয়ে বেরাচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা। গত ৯ জুন মধ্য সানারপাড় এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিনের ছেলে হক্কাকে মাদকসহ গ্রেফতার করে।
এসময় হক্কার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় হেমায়েত। যা অদ্যবধি ফেরত দেয়নি। গত ৮ জুন সানারপাড় এলাকার মাদক ব্যবসায়ী বাসেদের ছেলে রনিকে গ্রেফতার করতে গেলে রনি হ্যান্ডকাফসহ রনি পালিয়ে যায়। গোপন সূত্রে জানা যায়, সানারপাড় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মাদক মামলার আসামী রনি। সে সানারপাড় এলাকায় ইয়াবা, ফেন্সিডিলের ব্যবসা করে। এর মধ্যে একাধিকবার পুলিশের হাতে রনি গ্রেফতার হয়েছে।
গত বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক হেমায়েত উদ্দিন মাদক ব্যবসায়ী রনিকে মাদক ছাড়াই গ্রেফতার করে। পরে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে রনিকে ছেড়ে দেয়। তবে রনি ৫ হাজার টাকা নগদ দেয়। বাকি ৪৫ হাজার টাকার জন্য হেমায়েত তাকে ৮ জুন গ্রেফতার করতে গেলে রনি হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে যায়। নাসিক ৬নং ওয়ার্ড আইলপাড়াসহ থানার বিভিন্ন এলাকায় সামারি করতে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে লাঞ্চিত হয়।
তাছাড়াও ২ হাজার ৫০০ পিছ ইয়াবাসহ ১ মার্চ রাতে এসও স্ট্যান্ড মেঘনা ডিপোর সামনে থেকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী মেঘানগরের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে শাহ আলমকে গ্রেফতার করে। কিন্তু মামলায় ৭শ পিছ ইয়াবা দিয়ে আদালতে পাঠায়। এসময় শাহ আলমের সাথে লক্ষাধিক টাকাও উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ১ হাজার বোতল ফেন্সিডিলসহ মিজমিজি চৌধুরীপাড়া এলাকা থেকে আশরাফ আলী (৩৯), তার স্ত্রী মুক্তা (২৯) ও জায়েদুল ইসলাম (২৫) গ্রেফতার করা হয়। এখানেও নাকি কয়েক হাজার বোতল ফেন্সিডিল সরানো হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানায়।
থানায় উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আদেশ নির্দেশ অমান্য করে তাদেরকে বিভিন্ন সময় তার নিদের্শ মানতে বাধ্য করে ফলে ভেঙ্গে পরেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের চেইন অফ কমান্ড। এ পুলিশ কর্মকর্তাকে দ্রুত অপসারন করা দরকার। তা নাহলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভাবমূর্তি ক্ষুণ হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।