গারো জনগোষ্ঠীর প্রায় ৩০০টি পরিবার আশুলিয়ার গণক বাড়ি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাস করে। এসব পরিবারের সদস্যরা ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়া করণ অঞ্চলে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় কাজ করেন। অনেকে আবার বিভিন্ন বিউটি পার্লারে ও কাজ করেন। তবে কোভিড-১৯ এই পরিবার গুলোর সামনে দুঃস্বপ্ন বয়ে এনেছে।
টানা তিন মাসের অচলাবস্থার কারণে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে। সিংহ ভাগ চাকরিজীবীর বেতন ৬০ শতাংশ থেকে শূণ্যে নেমেছে। হঠাৎ আয়ের পথ বন্ধে বিপাকে পড়েছে পরিবার গুলো। কম বয়সী সন্তানদেও খাবার কেনার সামর্থ্য হারিয়েছেন অনেকে। এমন কি ক্ষুধার জ্বালায় গারো বাচ্চাদের শরীর থেকে হাড্ডিসার বের হওয়া ছবিগুলো যখন চারদিক ভাইরাল হচ্ছিল তখন গারো জনগোষ্ঠীর ৬০টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম সুপার শপ ‘স্বপ্ন’।
প্রয়োজনীয় খাদ্যেও সংস্থান ও চাকরির ব্যবস্থাকরছে স্বনাম খ্যাত এই সুপার শপটি। সামাজিক দায়বদ্ধতা পূরণের অংশ হিসেবে নেয়া উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত বুধবার সঙ্কটে থাকা৬০টি গারো পরিবারকে শিশুখাদ্য ও পুষ্টি চাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী উপহার দিয়েছে ‘স্বপ্ন’। সেই সঙ্গে করোনা ভাইরাসের কারণে বেকার হয়ে পড়া গারো পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ ও নেয়া হচ্ছে। আবুল খায়ের কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেড শিশুদের গুড়ো দুধ স্পন্সর করেছে এই উদ্যোগে।
স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, অভুক্ত শিশুদের শরীর থেকে হাড্ডিসার বের হওয়া ছবি দেখে আমাদের পার্টনার প্রতিষ্ঠানদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ করলাম। এরপর সকলে মিলে যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করলাম। আর সামনে ও যতটা সম্ভব করার চেষ্টা থাকবে আমাদের।