ঠাকুরগাঁওয়ে চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে হাত-পা বেঁধে নির্মম নির্যাতনের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড.কে.এম কামরুজ্জামান সেলিম ।
১২ জুন ( শুক্রবার ) রাতে ঠাকুরগাঁওয়ে চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে হাত-পা বেঁধে নির্মম নির্যাতনের খবর বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরদিন দুই শিশু সুমন ও কামরুলের বাড়িতে যান এবং ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক ড.কে.এম কামরুজ্জামান সেলিম ।
শনিবার ,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড.কে,.এম কামরুজ্জামন সেলিম পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নে যান এবং গত ৫ জুন মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার সুমন ও কামরুলের বাড়িতে যান এবং ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি নির্যাতনের শিকার দু’জন এবং তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হন এবং তাদের পরিবারদের সমবেদনা জানান। দোষীদের যথোপযুক্ত শাস্তি হবে মর্মে তিনি তাদেরকে আশ্বস্ত করেন।করোনাকালিন সময়ের জন্য তিনি তাদেরকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন।
সুমন ও কামরুলের জন্য খাদ্য সামগ্রী এবং চিকিৎসার জন্য প্রতিজনকে ৫০০০ টাকা করে দু জন কে দশ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকে ড. কে.এম .কামরুজ্জামান সেলিমের সাথে উপস্থিত ছিলেন এডিসি (জেনারেল)নুর কুতুবুল আলম , পিরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান,পিরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার , পিরগঞ্জ এসি(ল্যান্ড) এবং স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান ।
এ ঘটনায় বিগত (৫ জুন শুক্রবার) পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে নির্যাতনের শিকার সরিফা খাতুন। মামলায় সেনগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, মোতালেব আলীসহ আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়।
পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে বলেন , সেনগাও ইউনিয়নের জিয়াবুর নামে একজনকে ০৬/১৩/২০২০ ( শনিবার ) বিকালে আটক করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে ।