গাংনীর কেশবনগর মাথাভাঙ্গা নদীর কোল ঘেষে ১২ একর সম্পত্তি নিয়ে সরকার ও স্থানীয় হিরাজ গংয়ের মধ্যে চলছে রশি টানাটানি। হিরাজ গংয়ের দাবী তারা পৈত্রিক সুত্রে এ সম্পত্তির দাবীদার। আর সরকার বলছে ওই ১২ একর জমি মাথাভাঙ্গা নামে রেকর্ডভুক্ত। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান।
মেহেরপুরের গাংনীর কেশবনগর গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে ১২ একর সম্পত্তি রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতো। গত কয়েকবছর যাবত স্থানীয় প্রভাবশালী হিরাজ গং নিজেদের বলে দাবী করে চাষাবাদ করতে থাকে। এতে বাধ সাধে স্থানীয় লোকজন। স্থানীয়রা জানান, যুগযুগ ধরে তারা নদীর পাড়ের জমিতে বিভিন্ন কাজ করে আসছিল।
সরকারী সম্পত্তি হঠাত করে কীভাবে পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবী করে হিরাজ গং? এদিকে পৈত্রিক সম্পত্তির দাবীদার হিরাজ গং তাদের মালিকানার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও দেখাতে পারেন নি। ১৯৬২ সালে নদীর নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। স্থানীয় ভুমি অফিস বারবার নিষেধ করলেও হিরাজগং তা অগ্রাহ্য করে জবর দখল করেন এবং গ্রামের লোকজনকে ওই জমিতে যেতে বাধা দেন।
হিরাজের ছেলে জালাল দাবী করেন এ সম্পত্তি তাদের পৈত্রিকসুত্রে পাওয়া। নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে জমির ফসল নষ্ট হয়। নদী পাড়ের জমি বলে এটা নদীর হয়ে যায় না। তাছাড়া নদী ভাঙ্গনে এলাকার মানচিত্র থেকে নদীটি সরে এসেছে। কেশবনগর মৌজার ২৩২ থেকে ২৩৬ নং দাগে এই ১২ একর সম্পত্তির দখল নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। ২০১৩ সালে মামলাটি করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীর পানি কমে গেলে নদী পাড়ের লোকজন ওই জমি ভোগ দখল করে আবাদ করতো। খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতো গ্রামের ছেলেরা। হিরাজ গংয়ের কারণে কেউ আর ওই জমির ধারে কাছেও যেতে পারে না।
গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়ানুর রহমান জানান, ওই জমিটি সরকারী। স্থানীয় প্রভাবশালীরা দাবী করায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় কেউ জমিটি ভোগ দখল করতে পারবে না। যদি কেউ ভোগ দখলের চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।