দেশের এই ক্রাস্তিলগ্নে প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। করোনা যুদ্ধকালে সন্মুখ যোদ্ধাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং সংকট থেকে উত্তরণে সর্বশক্তিমানের রহমত কামনা করছি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তাফা কামাল, এম.পি. গত বৃহষ্পতিবার ১১ জুন ২০২০ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট ও আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শীর্ষক জাতীয় বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেছেন। বাংলাদেশসহ বিশ^ব্যাপী বিদ্যমান এই অস্বাভাবিক সময়ে ২০২০-২১ সালের জাতীয় বাজেট পেশের জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়কে অভিবাদন ও ধন্যবাদ জানাই ।
আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ব্যবসা বানিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ পরিচিতিকরণ এবং সংযোগ সমন্বয়কারী গবেষনা ও উপদেষ্টা সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) মনে করে করোনার এই মহামারীর পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া অর্থনীতিকে পুনরূদ্ধার, এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং টেকসই উন্নয়নশীল দেশে উন্নীতকরণ করতে একটি বহুমুখী, বাস্তবায়নযোগ্য এবং দিক নির্দেশনামূলক সম্প্রসারণশীল বাজেটের বিকল্প নেই। এ প্রেক্ষাপটে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে যেখানে প্রত্যাশিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮.২% এবং মুদ্রাস্ফীতি হার ৫.৪%।
মাননীয় অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বারংবার করোনা মহামারীর কথা উল্লেখ করেছেন কিন্তু বাজেট বরাদ্দে যে সংখ্যা নির্ধারন করা হয়েছে তা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ’প্রায় অচল অর্থনীতিকে সচল রাখার, বেকার ও ক্ষুধা রোখার, করোনায় ক্ষতি পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন, করোনায় সৃষ্ট মন্দা মোকাবিলা এবং সম্ভাব্য সুযোগের (কৃষি, স্বাস্থখাত, আইটি, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার খাতে অধিক মনোযোগ ও দক্ষ জলবল সৃষ্টিসহ বিদেশফেরত বিদেশি বিনিয়োগ ঘরে আনা) সদব্যবহার ও অনিশ্চিত পরিস্থিতি মোকাবিলা’র সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতীয়মান হয়নি।
২০২০-২১ অর্থবছরে ঘোষিত বাজেটে যেভাবে করোনার শংকা, অভিঘাত এবং পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, বাজেটে আয় ব্যয় বন্টনে তার প্রতিফলন হয়নি। বাজেটের আকার, বাজেটের বরাদ্দ, শুল্ককর আহরনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি বলে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলের পর্যবেক্ষন পর্যালোচনায় উঠে আসছে।