করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিয়োগাত্মক ঘটনা এখন বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নিয়েছে। এর থাবা পড়েছে বাংলাদেশেও। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অনেক জেলা-ই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রাণহানি ঘটছে। দেশে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ঘটনা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে।
সেখানে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ভয়ে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। কুমিল্লার হোমনা উপজেলার অসংখ্য মানুষ চাকুরি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সূত্রে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বাস করছে।
তাদের অনেকেই নিজ ঠিকানা এবং আত্মীয়তার সূত্র ধরে সড়ক ও জলপথে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নিচ্ছে।
ওইসব লোকদের ফেরা ঠেকাতে এবং আগত লোকদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
প্রতিদিনের মত সোমবার হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা ভাষানিয়া ইউনিয়নের তিতিয়া রঘুনাথপুর গ্রামে বিশেষ অভিযানে যান।
ওই গ্রামে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে আগত ব্যক্তিদের বাড়িতে উপস্থিত হয় মনিটরিং এবং হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করে তাদের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইন চিহ্ন স্থাপন করেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও তাপ্তি চাকমা বলেন, লকডাউন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও অধিক সংক্রমিত ঢাকা থেকে সড়ক ও জলপথে অসংখ্য লোক এসেছে । আগত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে রঘুনাথপুরের তিতিয়া গ্রামে তাদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে মনিটরিং ও চিহ্ন স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে।