ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আষাঢ়ের টানা বৃষ্টিতে রোপা আমন জমি চাষে মহা ব্যস্ত তানোরের কৃষকরা

আষাঢ়ের টানা বৃষ্টিতে রোপা আমন রোপণের জন্য রাজশাহীর বরেন্দ্র কৃষি প্রধান বা ধান চাষে উত্তর বঙ্গের মধ্যে অন্যতম এলাকা তানোর উপজেলা। টানা বৃষ্টি আর উজানের পানিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল যখন তলিয়ে যাচ্ছে আর সেই বৃষ্টি যেন তানোরের কৃষকের কাছে আশীর্বাদে পরিণত হয়ে পড়েছে। তবে এটানা বৃষ্টি কিছুটা অসুবিধায় ফেলেছে যারা এখনো আলুর জমির ধান কাটা মাড়াই করছেন। অবস্থা এমন দিনরাত উপজেলা জুড়ে চলছে জমি চাষের কাজ। কেউ পাওয়ার টিলার আবার কেউ ট্যাফে ট্র্যাক্টর দিয়ে জমি চাষে মহা ব্যাস্ত সময় পার করছেন।

অন্য দিকে যে এলাকায় আলু চাষ হয়না বা উঁচু এলাকার জমিগুলোতে রোপা আমনের চারা রোপণ শুরু করে দিয়েছেন। অপর দিকে টানা বৃষ্টির কারনে আলুর জমির ধানের শুধু মাথা কেটে ভুত মেশিনে মাড়াই করছেন ।ফলে একদিকে চলছে আলুর জমির ধান কাটা মাড়াই, অন্যদিকে ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে জমি চাষ চলছে । তবে আলুর জমির ধানের মাথা কাটার জন্য ন্যাড়া বড় অবস্থায় থাকায় জমি চাষে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে ট্র্যাক্টর চালক দের।

উপজেলা জুড়ে দেখা গেছে, জেলার মধ্যে তানোর উপজেলাটি ধান চাষে বিখ্যাত। ধান চাষ উপজেলা বাসির প্রধানতম আয়ের উৎস। উপজেলার উঁচু এলাকা হল মুণ্ডুমালা পৌরসভা, বাধাইড় ইউপি এবং কলমা ইউপির কিছু এলাকা। বিশেষ করে বাধাইড় এবং মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার কৃষকরা রোপা আমন ধান রোপণের জন্য আগাম প্রস্তুত নিয়ে থাকেন। আষাঢ়ের টানা বৃষ্টির আগেই শুখনো জমিতে চাষ দিয়ে রাখেন। কারন বৃষ্টির পানি হলেই যেন ধান রোপণ করা যায়। এছাড়াও উপজেলার বেশির ভাগ মাঠে জমি চাষে চরম ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

উপজেলার তালন্দ ইউপি, তানোর পৌর এলাকা, সরনজাই ইউপি এবং চান্দুড়িয়া ইউপি, পাচন্দর ইউপি এলাকার কৃষকরা দিতরাত জমি চাষ করছেন । তানোর পৌর এলাকার কৃষক কিতাব জানান আলুর জমির ধান কাটা মাড়ায়ের পর এখন ট্র্যাক্টর দিয়ে চলছে জমি চাষের কাজ। এক বিঘা জমিতে চারটি করে ট্যাফে ট্র্যাক্টর দিয়ে চাষ দিতে হচ্ছে। তবে দু একটি চাষ দিয়ে দুএক দিন রাখতে হচ্ছে। কারন আলুর জমির ধান কাটার সময় হয়েছে বৃষ্টি। এজন্য শ্রমিকরা ধানের মাথা কেটে ভুত মেশিমে মাড়াই করতে হয়েছে। ধানের মাথা কাটার জন্য স্থানীয় ভাষায় যাকে বলে লাড়া বা( ন্যাড়া) বড় হয়ে থাকার কারনে এক দুটি চাষ দিয়ে কয়েকদিন রাখতে হয়।

যার কারন সেই লাড়া বা (ন্যাড়া) পচে না যাওয়া পর্যন্ত জমি রোপন করা যায়না। তিনি আরো জানান এবারে সিন্দুকাই মাঠে ১৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন রোপণ করা হবে। একই মাঠে হালিমের ২০বিঘা, জসিমের ৩০বিঘা, মিলনের ৩০বিঘা, হামেদের ৫০ বিঘা, তালন্দ ইউপির আব্বাসের ২০ বিঘা, হাসেনের ১৫বিঘাসহ পুরো আবাদি জমিতে চলছে চাষের কাজ। সবাই এখন চাষ দিয়ে জমি রোপণের জন্য প্রস্তুত করছে। এক বিঘা জমিতে চারটি করে চাষ ও সমতলের জন্য মই দেয়ার কারনে ১৪০০ টাকা খরচ হবে।

সাত ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলাটি। প্রতিটি মাঠে চলছে জমি চাষের কাজ। মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার কৃষক ও পাওয়ার টিলার চালক আশরাফুলের সাথে জমি চাষরত অবস্থায় কথা হয় তিনি জানান নিজের আট বিঘা জমিসহ, হাজী শাহজাহানের ৮বিঘা, মহির উদ্দিনের ৭বিঘা, টিপু সুলতানের ৮বিঘা, রফিকের ২০ বিঘা, নুরু সরদারের ২০ বিঘা ও গফর সরদারের ২০ বিঘা জমিতে চাষ করা হবে। এসব জমিতে আলুর চাষ না হবার কারনে পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করা হচ্ছে। তবে সবার আংশিক জমি চাষ হয়েছে। সকাল থেকে রাত্রি ৮/৯ টা পর্যন্ত চলে জমি চাষের কাজ।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার তালন্দ, পাচন্দর, সরনজাই, চান্দুড়িয়া, কামারগাঁ ইউপির ও তানোর পৌর এলাকার প্রায় জমিতেই আলু চাষ হয় এবং কলমা ইউপির নিচু আংশিক জমিতে হয় আলু চাষ। শুধু মাত্র বাধাইড় ইউপি মুণ্ডুমালা পৌর এলাকা এবং কলমা ইউপির উঁচু জমিতে হয়না আলু চাষ। তবে সেচের ব্যবস্থা ব্যাপক হারে থাকার কারনে উপজেলা জুড়েই হয় বোরো ধানের চাষাবাদ।

বোরো এবং আলু প্রায় সমপরিমাণ জমিতে চাষ হয়। কিন্তু রোপা আমন চাষাবাদ এউপজেলায় সব চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে চাষ হয়। আর এবার আমন চাষিরা সময়মত বৃষ্টির পানি পেয়ে কোন ধরনের সময় নষ্ট না করে জমি চাষের কাজে চরম ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শ্রমিকসহ কৃষকদের দম ফেলার সময় নেই। কারন বৃষ্টির পানি জমিতে থাকা অবস্থায় ধানের চারা রোপণের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন।

গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার মুল সড়কসহ গ্রামীণ রাস্তা গুলোতে দেখা যায়, ভুত মেশিনে ধান মাড়াই শুকানো ও জালানি হিসেবে অনেকে রাস্তায় খড়ও শুকাতে ব্যস্ত গৃহিণীরা । ধান কাটার পড় মাড়াই ধান খড় শুকানো কাজে গৃহিণীরাও প্রচুর ব্যস্ত সময় পার করেন। থানা মোড় থেকে মুণ্ডুমালা, থানা মোড় থেকে চৌবাড়িয়া রাস্তা, যোগিশো থেকে দুবইল হয়ে কৈল হাটের রাস্তা, দেবিপুর মোড় থেকে লালপুর বিল শহর হয়ে নারায়ন দিয়ে ইলামদহি পাক চাদপুর, দুবইল মোড় থেকে প্রকাশ নগর হয়ে মুণ্ডুমালা , তালন্দ থেকে বিল্লি রাস্তা, দরগাডাংগা থেকে নড়িয়াল, চন্দন কোঠা দিয়ে হাতিনান্দা মোড়, বাঘের মোড় থেকে কামারগাঁ বাজার, কালীগঞ্জ থেকে সরনজাই বাজার হয়ে মুন্ডলপাড়া, সরনজাই বাজার থেকে সরকার পাড়া দিয়ে মানিক কন্যা হয়ে শুকদেবপুর দিয়ে মোহর হয়ে দেবিপুর মোড়সহ উপজেলাতে যত পাকা রাস্তা আছে গৃহিণী ও বহিরাগত শ্রমিকরা ধান খড় শুকাতে ব্যস্ত, তেমনি ভাবে এসব এলাকার আবাদি জমিতে চলছে চাষের কাজ ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম জানান এউপজেলায় প্রায় সাড়ে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। টানা বৃষ্টি আর উজানের পানিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল যখন প্লাবিত, আর সেই বৃষ্টির পানি এউপজেলার কৃষকদের কাছে আশীর্বাদে পরিণত হয়েছে। এবারে বোরো ধান যেমন বাম্পার ফলনের সাথে দামও ভালো পেয়েছে কৃষকরা। তবে আলুর জমির ধান কাটার সময় টানা বৃষ্টির কারনে অনেককে বিপাকে পড়তে হলেও আশানুরূপ ফলন হয়েছে।আসা করছি রোপা আমনেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকবে এবং কৃষকরা সময়মত জমি রোপণ করতে পারবেন।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

রাহুল গান্ধীকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা

আষাঢ়ের টানা বৃষ্টিতে রোপা আমন জমি চাষে মহা ব্যস্ত তানোরের কৃষকরা

আপডেট সময় : ১১:৩৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০

আষাঢ়ের টানা বৃষ্টিতে রোপা আমন রোপণের জন্য রাজশাহীর বরেন্দ্র কৃষি প্রধান বা ধান চাষে উত্তর বঙ্গের মধ্যে অন্যতম এলাকা তানোর উপজেলা। টানা বৃষ্টি আর উজানের পানিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল যখন তলিয়ে যাচ্ছে আর সেই বৃষ্টি যেন তানোরের কৃষকের কাছে আশীর্বাদে পরিণত হয়ে পড়েছে। তবে এটানা বৃষ্টি কিছুটা অসুবিধায় ফেলেছে যারা এখনো আলুর জমির ধান কাটা মাড়াই করছেন। অবস্থা এমন দিনরাত উপজেলা জুড়ে চলছে জমি চাষের কাজ। কেউ পাওয়ার টিলার আবার কেউ ট্যাফে ট্র্যাক্টর দিয়ে জমি চাষে মহা ব্যাস্ত সময় পার করছেন।

অন্য দিকে যে এলাকায় আলু চাষ হয়না বা উঁচু এলাকার জমিগুলোতে রোপা আমনের চারা রোপণ শুরু করে দিয়েছেন। অপর দিকে টানা বৃষ্টির কারনে আলুর জমির ধানের শুধু মাথা কেটে ভুত মেশিনে মাড়াই করছেন ।ফলে একদিকে চলছে আলুর জমির ধান কাটা মাড়াই, অন্যদিকে ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে জমি চাষ চলছে । তবে আলুর জমির ধানের মাথা কাটার জন্য ন্যাড়া বড় অবস্থায় থাকায় জমি চাষে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে ট্র্যাক্টর চালক দের।

উপজেলা জুড়ে দেখা গেছে, জেলার মধ্যে তানোর উপজেলাটি ধান চাষে বিখ্যাত। ধান চাষ উপজেলা বাসির প্রধানতম আয়ের উৎস। উপজেলার উঁচু এলাকা হল মুণ্ডুমালা পৌরসভা, বাধাইড় ইউপি এবং কলমা ইউপির কিছু এলাকা। বিশেষ করে বাধাইড় এবং মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার কৃষকরা রোপা আমন ধান রোপণের জন্য আগাম প্রস্তুত নিয়ে থাকেন। আষাঢ়ের টানা বৃষ্টির আগেই শুখনো জমিতে চাষ দিয়ে রাখেন। কারন বৃষ্টির পানি হলেই যেন ধান রোপণ করা যায়। এছাড়াও উপজেলার বেশির ভাগ মাঠে জমি চাষে চরম ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

উপজেলার তালন্দ ইউপি, তানোর পৌর এলাকা, সরনজাই ইউপি এবং চান্দুড়িয়া ইউপি, পাচন্দর ইউপি এলাকার কৃষকরা দিতরাত জমি চাষ করছেন । তানোর পৌর এলাকার কৃষক কিতাব জানান আলুর জমির ধান কাটা মাড়ায়ের পর এখন ট্র্যাক্টর দিয়ে চলছে জমি চাষের কাজ। এক বিঘা জমিতে চারটি করে ট্যাফে ট্র্যাক্টর দিয়ে চাষ দিতে হচ্ছে। তবে দু একটি চাষ দিয়ে দুএক দিন রাখতে হচ্ছে। কারন আলুর জমির ধান কাটার সময় হয়েছে বৃষ্টি। এজন্য শ্রমিকরা ধানের মাথা কেটে ভুত মেশিমে মাড়াই করতে হয়েছে। ধানের মাথা কাটার জন্য স্থানীয় ভাষায় যাকে বলে লাড়া বা( ন্যাড়া) বড় হয়ে থাকার কারনে এক দুটি চাষ দিয়ে কয়েকদিন রাখতে হয়।

যার কারন সেই লাড়া বা (ন্যাড়া) পচে না যাওয়া পর্যন্ত জমি রোপন করা যায়না। তিনি আরো জানান এবারে সিন্দুকাই মাঠে ১৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন রোপণ করা হবে। একই মাঠে হালিমের ২০বিঘা, জসিমের ৩০বিঘা, মিলনের ৩০বিঘা, হামেদের ৫০ বিঘা, তালন্দ ইউপির আব্বাসের ২০ বিঘা, হাসেনের ১৫বিঘাসহ পুরো আবাদি জমিতে চলছে চাষের কাজ। সবাই এখন চাষ দিয়ে জমি রোপণের জন্য প্রস্তুত করছে। এক বিঘা জমিতে চারটি করে চাষ ও সমতলের জন্য মই দেয়ার কারনে ১৪০০ টাকা খরচ হবে।

সাত ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলাটি। প্রতিটি মাঠে চলছে জমি চাষের কাজ। মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার কৃষক ও পাওয়ার টিলার চালক আশরাফুলের সাথে জমি চাষরত অবস্থায় কথা হয় তিনি জানান নিজের আট বিঘা জমিসহ, হাজী শাহজাহানের ৮বিঘা, মহির উদ্দিনের ৭বিঘা, টিপু সুলতানের ৮বিঘা, রফিকের ২০ বিঘা, নুরু সরদারের ২০ বিঘা ও গফর সরদারের ২০ বিঘা জমিতে চাষ করা হবে। এসব জমিতে আলুর চাষ না হবার কারনে পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করা হচ্ছে। তবে সবার আংশিক জমি চাষ হয়েছে। সকাল থেকে রাত্রি ৮/৯ টা পর্যন্ত চলে জমি চাষের কাজ।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার তালন্দ, পাচন্দর, সরনজাই, চান্দুড়িয়া, কামারগাঁ ইউপির ও তানোর পৌর এলাকার প্রায় জমিতেই আলু চাষ হয় এবং কলমা ইউপির নিচু আংশিক জমিতে হয় আলু চাষ। শুধু মাত্র বাধাইড় ইউপি মুণ্ডুমালা পৌর এলাকা এবং কলমা ইউপির উঁচু জমিতে হয়না আলু চাষ। তবে সেচের ব্যবস্থা ব্যাপক হারে থাকার কারনে উপজেলা জুড়েই হয় বোরো ধানের চাষাবাদ।

বোরো এবং আলু প্রায় সমপরিমাণ জমিতে চাষ হয়। কিন্তু রোপা আমন চাষাবাদ এউপজেলায় সব চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে চাষ হয়। আর এবার আমন চাষিরা সময়মত বৃষ্টির পানি পেয়ে কোন ধরনের সময় নষ্ট না করে জমি চাষের কাজে চরম ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শ্রমিকসহ কৃষকদের দম ফেলার সময় নেই। কারন বৃষ্টির পানি জমিতে থাকা অবস্থায় ধানের চারা রোপণের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন।

গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার মুল সড়কসহ গ্রামীণ রাস্তা গুলোতে দেখা যায়, ভুত মেশিনে ধান মাড়াই শুকানো ও জালানি হিসেবে অনেকে রাস্তায় খড়ও শুকাতে ব্যস্ত গৃহিণীরা । ধান কাটার পড় মাড়াই ধান খড় শুকানো কাজে গৃহিণীরাও প্রচুর ব্যস্ত সময় পার করেন। থানা মোড় থেকে মুণ্ডুমালা, থানা মোড় থেকে চৌবাড়িয়া রাস্তা, যোগিশো থেকে দুবইল হয়ে কৈল হাটের রাস্তা, দেবিপুর মোড় থেকে লালপুর বিল শহর হয়ে নারায়ন দিয়ে ইলামদহি পাক চাদপুর, দুবইল মোড় থেকে প্রকাশ নগর হয়ে মুণ্ডুমালা , তালন্দ থেকে বিল্লি রাস্তা, দরগাডাংগা থেকে নড়িয়াল, চন্দন কোঠা দিয়ে হাতিনান্দা মোড়, বাঘের মোড় থেকে কামারগাঁ বাজার, কালীগঞ্জ থেকে সরনজাই বাজার হয়ে মুন্ডলপাড়া, সরনজাই বাজার থেকে সরকার পাড়া দিয়ে মানিক কন্যা হয়ে শুকদেবপুর দিয়ে মোহর হয়ে দেবিপুর মোড়সহ উপজেলাতে যত পাকা রাস্তা আছে গৃহিণী ও বহিরাগত শ্রমিকরা ধান খড় শুকাতে ব্যস্ত, তেমনি ভাবে এসব এলাকার আবাদি জমিতে চলছে চাষের কাজ ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম জানান এউপজেলায় প্রায় সাড়ে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। টানা বৃষ্টি আর উজানের পানিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল যখন প্লাবিত, আর সেই বৃষ্টির পানি এউপজেলার কৃষকদের কাছে আশীর্বাদে পরিণত হয়েছে। এবারে বোরো ধান যেমন বাম্পার ফলনের সাথে দামও ভালো পেয়েছে কৃষকরা। তবে আলুর জমির ধান কাটার সময় টানা বৃষ্টির কারনে অনেককে বিপাকে পড়তে হলেও আশানুরূপ ফলন হয়েছে।আসা করছি রোপা আমনেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকবে এবং কৃষকরা সময়মত জমি রোপণ করতে পারবেন।