ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঈশ^রদীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ঈশ^রদীর লক্ষ্মিকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর গ্রামের মাঠের আম গাছ থেকে রানী খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (০৯’ জুলাই) দুপুরে লাশটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়। রানী ওই এলাকার খবির উদ্দিন ফকিরের দিন মজুর ছেলে জসিম উদ্দিন ফকিরের স্ত্রী। নিহত রানী এক সন্তানের জননী ও ঈশ^রদীর সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী গ্রামের আকমাল হোসেনের মেয়ে। তবে এটি পারিবারিক কোলহের জেরে আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যা তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার জিয়াউল ইসলাম জিয়া নিহত গৃহবধু রানীর স্বামীর পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, বুধবার রাতে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই তাদের ৪ বছরের শিশু মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে রানী ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে স্বামী জসিম ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে না পেয়ে পরিবারের অন্যান্য লোকজনকে নিয়ে খোঁজা খুজি করেন। কিন্তু না পেয়ে তারা বাড়িতে ফিরে আসেন। ভোরে নামায আদায়ের জন্য মুসুল্লিগণ ও মাঠে কাজে যাওয়া লোকজন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেওয়া ঝুলন্ত লাশ দেখে খবর দেন।

মেম্বার জিয়া আরো জানান, লাশ ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয়ে যায়। তবে মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হয়নি।
নিহত গৃহবধুর বাবা আকমাল হোসেন অভিযোগ করে জানান, প্রায় ৫ বছর আগে জসিমের সঙ্গে তার মেয়ে রানীর বিয়ে হয়। এরপর থেকেই যৌতুকের জন্য জসিম তাকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করতো। তার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তাই এটিকে আত্মহত্যা দেখাতে গলায় ফাঁস দিয়ে লাশ আমগাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

ঈশ^রদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাসীর উদ্দিন জানান, এটি আত্মহত্যা না হত্যা তা পরিষ্কার নয়। নিহত রানীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পোস্টমর্টেমের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

ঈশ^রদীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০

ঈশ^রদীর লক্ষ্মিকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর গ্রামের মাঠের আম গাছ থেকে রানী খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (০৯’ জুলাই) দুপুরে লাশটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়। রানী ওই এলাকার খবির উদ্দিন ফকিরের দিন মজুর ছেলে জসিম উদ্দিন ফকিরের স্ত্রী। নিহত রানী এক সন্তানের জননী ও ঈশ^রদীর সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী গ্রামের আকমাল হোসেনের মেয়ে। তবে এটি পারিবারিক কোলহের জেরে আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যা তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার জিয়াউল ইসলাম জিয়া নিহত গৃহবধু রানীর স্বামীর পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, বুধবার রাতে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই তাদের ৪ বছরের শিশু মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে রানী ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে স্বামী জসিম ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে না পেয়ে পরিবারের অন্যান্য লোকজনকে নিয়ে খোঁজা খুজি করেন। কিন্তু না পেয়ে তারা বাড়িতে ফিরে আসেন। ভোরে নামায আদায়ের জন্য মুসুল্লিগণ ও মাঠে কাজে যাওয়া লোকজন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেওয়া ঝুলন্ত লাশ দেখে খবর দেন।

মেম্বার জিয়া আরো জানান, লাশ ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয়ে যায়। তবে মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হয়নি।
নিহত গৃহবধুর বাবা আকমাল হোসেন অভিযোগ করে জানান, প্রায় ৫ বছর আগে জসিমের সঙ্গে তার মেয়ে রানীর বিয়ে হয়। এরপর থেকেই যৌতুকের জন্য জসিম তাকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করতো। তার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তাই এটিকে আত্মহত্যা দেখাতে গলায় ফাঁস দিয়ে লাশ আমগাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

ঈশ^রদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাসীর উদ্দিন জানান, এটি আত্মহত্যা না হত্যা তা পরিষ্কার নয়। নিহত রানীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পোস্টমর্টেমের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।