ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

এবার সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন অভিযোগ

রাজশাহীর তানোরে সেই চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশন(দূদকের) উপপরিচাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আইনজীবি জালাল উদ্দিন। চলতি মাসের ১৩ মার্চ সোমবার অভিযোগ দেন। এর আগে তিনি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিলেন।

একের পর এক অভিযোগ হলেও রহস্যজনক কারনে কোনই ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় নি। মোজাম্মেল উপজেলার সরনজাই ইউনিয়ন(ইউপির) চেয়ারম্যান। সে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তিনি সরকারী খাস পুকুর ভরাট করে দোকান বরাদ্দের নামে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা বানিজ্য করেছেন। পুকুর ভরাটের কারনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফলে একজন জনপ্রতিনিধির এমন কান্ড ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে, সেই সাথে বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

অভিযোগে উল্লেখ, উপজেলার সরনজাই ইউপির ১১০ নম্বর সরনজাই মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ান ভুক্ত আরএস ৮৪ নম্বর দাগে ২২ শতাংস পুকুর ছিল। সেই পুকুর চেয়ারম্যান ভরাট করে দোকান দেওয়ার নামে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ৩ লাখ টাকা ঘুষ বানিজ্য করেছেন।

তবে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল জানান, আমি ভরাটের মালিক না, সরকারী ভাবে ভরাট করে মার্কেট নির্মান হবে। আর পুকুরটি বেশির ভাগ আগেই ভরাট হয়েছিল। যাদেরকে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে তারা ডিসিআর কেটে টাকা দিয়েছেন। আমি কোন ব্যক্তির কাছ থেকে একটি টাকাও গ্রহন করিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সরকার পাড়া টু সরনজাই বাজারে যাওয়ার রাস্তার দক্ষিণে নতুন মাটি ফেলে ভরাট করা আছে। এখনো মার্কেট নির্মানের কাজ শুরু হয়নি।

অভিযোগকারী জালাল উদ্দিন জানান, কোন ব্যবস্থা গ্রহন না হলে আদালতে মামলা করা হবে এবং আমি পুকুরটি লীজ নিয়েছিলাম যার মেয়াদ চৈত্র মাস পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই ভরাট করেছে এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

এবার সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৩২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

রাজশাহীর তানোরে সেই চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশন(দূদকের) উপপরিচাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আইনজীবি জালাল উদ্দিন। চলতি মাসের ১৩ মার্চ সোমবার অভিযোগ দেন। এর আগে তিনি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিলেন।

একের পর এক অভিযোগ হলেও রহস্যজনক কারনে কোনই ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় নি। মোজাম্মেল উপজেলার সরনজাই ইউনিয়ন(ইউপির) চেয়ারম্যান। সে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তিনি সরকারী খাস পুকুর ভরাট করে দোকান বরাদ্দের নামে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা বানিজ্য করেছেন। পুকুর ভরাটের কারনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফলে একজন জনপ্রতিনিধির এমন কান্ড ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে, সেই সাথে বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

অভিযোগে উল্লেখ, উপজেলার সরনজাই ইউপির ১১০ নম্বর সরনজাই মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ান ভুক্ত আরএস ৮৪ নম্বর দাগে ২২ শতাংস পুকুর ছিল। সেই পুকুর চেয়ারম্যান ভরাট করে দোকান দেওয়ার নামে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ৩ লাখ টাকা ঘুষ বানিজ্য করেছেন।

তবে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল জানান, আমি ভরাটের মালিক না, সরকারী ভাবে ভরাট করে মার্কেট নির্মান হবে। আর পুকুরটি বেশির ভাগ আগেই ভরাট হয়েছিল। যাদেরকে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে তারা ডিসিআর কেটে টাকা দিয়েছেন। আমি কোন ব্যক্তির কাছ থেকে একটি টাকাও গ্রহন করিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সরকার পাড়া টু সরনজাই বাজারে যাওয়ার রাস্তার দক্ষিণে নতুন মাটি ফেলে ভরাট করা আছে। এখনো মার্কেট নির্মানের কাজ শুরু হয়নি।

অভিযোগকারী জালাল উদ্দিন জানান, কোন ব্যবস্থা গ্রহন না হলে আদালতে মামলা করা হবে এবং আমি পুকুরটি লীজ নিয়েছিলাম যার মেয়াদ চৈত্র মাস পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই ভরাট করেছে এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হচ্ছে বলেও জানান তিনি।