ধান, পাট সহ একাধিক ফসলের চেয়ে কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভুট্টার চাষে ঝুকছেন কৃষকরা। যেসব জমিতে বালুর পরিমান বেশি সেসব জমির প্রায় সব খানেই ভুট্টার চাষ করছেন কৃষকরা।
সৈয়দপুর কৃষি অফিস জানায়, গত বছর এ উপজেলায় ভুট্টার চাষ হয়েছিল ৪০০ হেক্টর জমিতে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে এ আবাদে লাভের পরিমান বেশি হওয়ায় এবারে ৬০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা। গত বছরের চেয়ে এবারে ২০০ হেক্টর বেশি জমিতে ভুট্টার চাষাবাদ হয়েছে।
উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর কৃষক মীর রমজান আলী জানান,গত বছর তিনি তাঁর ৬ একর জমিতে ভুট্টার চাষাবাদ করেছিলেন। এতে কম খরচে লাভ বেশি পাওয়ায় এবারে তিনি ৭ একর জমিতে ভুট্টার চাষাবাদ করেছেন। তিনি আশা করছেন, গতবারের ন্যায় এবারে ফলন ভালো হবে এবং দামও পাবে আশাতিষ।তিনি আরো বলেন, গত বছর ভুট্টা চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। আর বিঘা প্রতি ভুট্টা পেয়েছেন ২২ থেকে ২৪ মন ভুট্টা। বিঘা প্রতি লাভ হয়েছে ১০/১২ হাজার টাকা।
তিনি বলেন এবছর সার,কিটনাশকও ডিজেলের দাম চড়া। সে তুলনায় ভুট্টার দাম বাড়লে লাভবান হবোই হবো। শাহজাহান আলী ও জাকির হোসেন নামের অপর দুই চাষি জানান, গত২ বছর আমরা বোরো আবাদ করে তেমন একটা লাভবান হতে পারিনি। বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর কৃষক মীর রমজান আলীর লাভের কথা শুনে আমরা দু’জন ৮ বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষাবাদ করেছি।যেভাবে গাছ হয়েছে, সেভাবে ফলন হলে এবং দাম ভালো হলে লাভবান যে হবো তাতে কোন সন্দেহ নেই।
একই কথা বলেন খাতামধুপুর ইউনিয়ন এর কৃষক জুয়েল চৌধুরী, তিনি বলেন, ২০২১ সালে ১০ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করে যে লাভ করতে পারিনি, ২০২২ সালে ৬ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করে সে লাভ পেয়েছি। একারনে এবারে ৮ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি। আশা করছি এবারেও লাভের মুখ দেখবো ইনশাআল্লাহ।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান ভুষন জানান, এবারে এ উপজেলায় কৃষকদের মাঝে ভুট্টা চাষে বেশি আগ্রহ দেখা গেছে। চাষ ও হয়েছে পর্যাপ্ত। এ যাবত ৬০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষাবাদ হলেও আরো বাড়তে পারে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিন এর সহযোগিতায় কৃষকদের মাঝে সার,বীজ সহ অনেক কিছুই দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, গত বছরের ন্যায়, এবারেও কৃষকরা লাভবান হবেন। আগামীতে সৈয়দপুর উপজেলার কৃষক ভুট্টা চাষে বিপ্লব ঘটাবে এটা আমাদের বিশ্বাস।