ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

করোনায় পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

বেশ কিছু দিনের মধ্যেই আসন্ন ঈদ-উল-আজহা। এরই মধ্যে সৈয়দপুরসহ নীলফামারী জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে পশু উঠতে শুরু করেছে তবে সরকারের নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনা কাটা ও মধ্যবিত্তরা পশু কিনতে না পারার আশঙ্কায় খামারিদের এক প্রকার মাথায় হাত পড়েছে। ক্রেতা সাধারণ সরকারের নির্দেশ মতে পশু কিনতে আসবে কিনা বা পশুর দাম পাবে কিনা এই নিয়ে এক প্রকার দিশেহারা তারা।

স্থানীয় প্রাণী সম্পদ বিভাগ বলছেন গতবারের চেয়ে এবারে কুরবানির পশুর মজুদ রয়েছে দ্বিগুণ। সৈয়দপুরসহ নীলফামারী জেলার পাশাপাশি দেশে যে হারে পশু পালন হয়েছে। বাইরের দেশ থেকে পশু আমদানি করার প্রয়োজনই হবে না। গত বছরও পালিত পশুর তিন ভাগের এক ভাগ অবিক্রিত রয়ে যায়। দেশের মানুষ যে হারে পশুপালনসহ কুরবানির জন্য প্রস্তুত করেন তাতে খামারিরা স্বয়ংস্মপূর্ণ অর্জন করেছেন।

পশু সম্পদ বিভাগ আরও বলেন স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সৈয়দপুরসহ সারা নীলফামারী জেলায় পশু বিক্রি করার হাট নির্ধারণ করে থাকেন। এবারেও একই নিয়মে চলবে সব হাটের কার্যক্রম। তবে পশু কুরবানি ও জীবন রক্ষা দুটই জরুরি মাথাই রেখে পশু বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান চলমান করোনার কারণে বেশ বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকজন। ভাইরাস আতঙ্কে তাদের অনেকেরই ব্যবসা বা কাজকর্ম ধীরগতি হয়ে যায়। গতদিনে যারা কয়েকজন মিলে সাত ভাগে কুরবানি দিয়েছেন তাদের অনেকেই করোনার কারণে কুরবানি নাও দিতে পারেন। এতে কুরবানির পশুর বিক্রি কম হতে পারে।

অন্যদিকে বিত্তরাও করোনার অজুহাত নিয়ে দাম তেমন একটা দিতে চাইবেন না। এতে পর্যাপ্ত পশু থাকার পরও সঠিক দাম নাও পেতে পারেন খামারিরা। এমন উদ্যোগের মধ্যে কুরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সৈয়দপুর নীলফামারীসহ দেশের খামারিরা। কুরবানি ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে পশু খামারিদের ততই দুশ্চিন্তা বাড়ছে।

সৈয়দপুর শহরের বাঁশবাড়ি মহল্লার খামারি আলহাজ্ব মিন্টু জানান খামারে সারা বছর গরু মোটাজাতকরণ করে কুরবানি ঈদের অপেক্ষায় থাকেন তিনি। এবারে প্রায় দুইশটি বড় ও মাঝারি সাইজের গরু ও প্রায় ১২০টি ছাগল বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু করোনার কারণে পশুগলির দাম সঠিক পাবেন কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ছে না।

রবিউল নামের অপর এক খামারি জানান ৫০ থেকে ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে যদি কুরবানি ঈদে পশুর দাম পাওয়া না যায় তাহলে দুঃখের সীমা থাকবেনা ও পশুপালন করতে অনেক খামারি ঋণও করেছেন। করোনার প্রভাব যদি পশু কেনা বেচায় পড়ে তাহলে তাদের পথে বসতে হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে পশু সম্পদ অধিদপ্তরের ডাক্তার রাশেদুল হক জানান এবারে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পশু বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। যেহেতু বাইরের দেশ থেকে পশু আমদানি করা হচ্ছে না সেহেতু খামারিদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

রাহুল গান্ধীকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা

করোনায় পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

আপডেট সময় : ১২:৪০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০

বেশ কিছু দিনের মধ্যেই আসন্ন ঈদ-উল-আজহা। এরই মধ্যে সৈয়দপুরসহ নীলফামারী জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে পশু উঠতে শুরু করেছে তবে সরকারের নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনা কাটা ও মধ্যবিত্তরা পশু কিনতে না পারার আশঙ্কায় খামারিদের এক প্রকার মাথায় হাত পড়েছে। ক্রেতা সাধারণ সরকারের নির্দেশ মতে পশু কিনতে আসবে কিনা বা পশুর দাম পাবে কিনা এই নিয়ে এক প্রকার দিশেহারা তারা।

স্থানীয় প্রাণী সম্পদ বিভাগ বলছেন গতবারের চেয়ে এবারে কুরবানির পশুর মজুদ রয়েছে দ্বিগুণ। সৈয়দপুরসহ নীলফামারী জেলার পাশাপাশি দেশে যে হারে পশু পালন হয়েছে। বাইরের দেশ থেকে পশু আমদানি করার প্রয়োজনই হবে না। গত বছরও পালিত পশুর তিন ভাগের এক ভাগ অবিক্রিত রয়ে যায়। দেশের মানুষ যে হারে পশুপালনসহ কুরবানির জন্য প্রস্তুত করেন তাতে খামারিরা স্বয়ংস্মপূর্ণ অর্জন করেছেন।

পশু সম্পদ বিভাগ আরও বলেন স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সৈয়দপুরসহ সারা নীলফামারী জেলায় পশু বিক্রি করার হাট নির্ধারণ করে থাকেন। এবারেও একই নিয়মে চলবে সব হাটের কার্যক্রম। তবে পশু কুরবানি ও জীবন রক্ষা দুটই জরুরি মাথাই রেখে পশু বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান চলমান করোনার কারণে বেশ বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকজন। ভাইরাস আতঙ্কে তাদের অনেকেরই ব্যবসা বা কাজকর্ম ধীরগতি হয়ে যায়। গতদিনে যারা কয়েকজন মিলে সাত ভাগে কুরবানি দিয়েছেন তাদের অনেকেই করোনার কারণে কুরবানি নাও দিতে পারেন। এতে কুরবানির পশুর বিক্রি কম হতে পারে।

অন্যদিকে বিত্তরাও করোনার অজুহাত নিয়ে দাম তেমন একটা দিতে চাইবেন না। এতে পর্যাপ্ত পশু থাকার পরও সঠিক দাম নাও পেতে পারেন খামারিরা। এমন উদ্যোগের মধ্যে কুরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সৈয়দপুর নীলফামারীসহ দেশের খামারিরা। কুরবানি ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে পশু খামারিদের ততই দুশ্চিন্তা বাড়ছে।

সৈয়দপুর শহরের বাঁশবাড়ি মহল্লার খামারি আলহাজ্ব মিন্টু জানান খামারে সারা বছর গরু মোটাজাতকরণ করে কুরবানি ঈদের অপেক্ষায় থাকেন তিনি। এবারে প্রায় দুইশটি বড় ও মাঝারি সাইজের গরু ও প্রায় ১২০টি ছাগল বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু করোনার কারণে পশুগলির দাম সঠিক পাবেন কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ছে না।

রবিউল নামের অপর এক খামারি জানান ৫০ থেকে ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে যদি কুরবানি ঈদে পশুর দাম পাওয়া না যায় তাহলে দুঃখের সীমা থাকবেনা ও পশুপালন করতে অনেক খামারি ঋণও করেছেন। করোনার প্রভাব যদি পশু কেনা বেচায় পড়ে তাহলে তাদের পথে বসতে হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে পশু সম্পদ অধিদপ্তরের ডাক্তার রাশেদুল হক জানান এবারে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পশু বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। যেহেতু বাইরের দেশ থেকে পশু আমদানি করা হচ্ছে না সেহেতু খামারিদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই বলে জানান তিনি।