ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

করোনা নিয়ে মিথ্যা প্রচারণার প্রতিবাদে মানববন্ধন

করোনাভাইরাস নিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি ইসলামীক দল। সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে কোন প্যানিক তৈরী করবেন না। কিন্তু জামায়াত ইসলাম তথা ধর্মব্যবসায়ীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কঠিন আতঙ্ক তৈরী করেছে। অথচ তারা এতদিন জোর গলায় প্রচার করত- সব কিছু দেয়ার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি। কিন্তু করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার মালিক যে মহান আল্লাহ পাক সেটা এখন আর তারা প্রচার করছে না।

তারা বলেন, বিএনপি জামাতের সুরে সুর মিলিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক দুর্নীতিবাজ ডিজির আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং ধর্মব্যবসায়ীরা করোনাকে ছোঁয়াচে ও মহামারী বলে সরকারকে লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে। এদিকে, জামায়েক, কওমী ও ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য, সরকারকে ইসলামবিরোধী প্রমাণ করার জন্য দ্বীনদারদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অপব্যাখ্যা করে লকডাউনের পক্ষে উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কাজ করেছে। তারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

সোমবার (২২) জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৭ দফা দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওলামা লীগ সহ মানববন্ধন।

বক্তারা বলেন, ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু আছে, বিশ্বাস করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ উনার খিলাফ। কারণ পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “(তোমরা) অন্ধের সাথে, ল্যাংড়া-লুলা-খোঁড়ার সাথে এবং সমস্ত প্রকার ব্যাধিগ্রস্থ রোগীদের সাথে একত্রে মিলেমিশে খাবার খেতে পারো, তাতে কোন বাধা-নিষেধ নেই, দোষ নেই, অসুবিধা নেই, বিপদ নেই, অশুভ নেই। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬১)

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফের বাংলা অনুবাদের দলীল-আদিল্লাহর মাধ্যমেই প্রমাণিত যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলামে তথা সম্মানিত শরীয়তে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই। সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে বিশ্বাস করা কাট্টা কুফরী ও শিরকীর অন্তর্ভুক্ত।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন নিজেই নিজের প্রকাশিত কিতাবের বিরুদ্ধে ফতওয়া প্রকাশ করে চরম মূর্খতার পরিচয় দিয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, বিএনপি জামাত চাচ্ছে লকডাউন জোরদার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার জন্য। মানুষ মারার জন্য এবং সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য। চিকিৎসা না পেয়ে, না খেয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে জনরোধ তৈরী করে দেশের ক্ষতি করে সরকারের গদি নড়িয়ে দিতে।

লকডাউন ব্যাপক জোরদার করে সরকারের পতন ঘটাতে।

ওলামা লীগ নেতারা বলেন, ধর্মব্যবসায়ীদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে অবিলম্বে আত্মঘাতি লকডাউন তুলে দিতে হবে। ‘করোনা ছোঁয়াচে বা মহামারী’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ ফতোয়া প্রত্যাহার করতে হবে। কাতারে ফাক করে দাড়ালে তার মধ্যে শয়তান ঢুকে এবং জামাত ফাসেদ হয়। তাই মসজিদে কাতার পূর্ণ করে দাড়াতে হবে। মাঠে ঈদের জামাত পড়তে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, আসন্ন পবিত্র কুরবানীতে করোনার মিথ্যা প্রচারনা, আতঙ্ক শক্ত হাতে বন্ধ করতে হবে। পবিত্র কুরবানী যাতে বাধাগ্রস্থ না হয়, গরীবের হক্ব যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে। কুরবানী ঈদে যাতে কুরবানীর হাট, স্থান নির্দিষ্ট করা ইত্যাদি নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা কোন চক্রান্ত করতে না পারে সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। গতবছর কুরবানীর স্থান নির্দিষ্টকারী চক্রান্তকারীরা নিজেরাও নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানী করেনি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ওলামালীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মাদ আকতার হুসাইন বোখারী,সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান সেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তার,ওলামা লীগের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মাদ শওকত হোসেন আলী শেখ ছিলিমপুরী।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

রাহুল গান্ধীকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা

করোনা নিয়ে মিথ্যা প্রচারণার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০২:১৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুন ২০২০

করোনাভাইরাস নিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি ইসলামীক দল। সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে কোন প্যানিক তৈরী করবেন না। কিন্তু জামায়াত ইসলাম তথা ধর্মব্যবসায়ীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কঠিন আতঙ্ক তৈরী করেছে। অথচ তারা এতদিন জোর গলায় প্রচার করত- সব কিছু দেয়ার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি। কিন্তু করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার মালিক যে মহান আল্লাহ পাক সেটা এখন আর তারা প্রচার করছে না।

তারা বলেন, বিএনপি জামাতের সুরে সুর মিলিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক দুর্নীতিবাজ ডিজির আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং ধর্মব্যবসায়ীরা করোনাকে ছোঁয়াচে ও মহামারী বলে সরকারকে লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে। এদিকে, জামায়েক, কওমী ও ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য, সরকারকে ইসলামবিরোধী প্রমাণ করার জন্য দ্বীনদারদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অপব্যাখ্যা করে লকডাউনের পক্ষে উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কাজ করেছে। তারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

সোমবার (২২) জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৭ দফা দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওলামা লীগ সহ মানববন্ধন।

বক্তারা বলেন, ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু আছে, বিশ্বাস করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ উনার খিলাফ। কারণ পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “(তোমরা) অন্ধের সাথে, ল্যাংড়া-লুলা-খোঁড়ার সাথে এবং সমস্ত প্রকার ব্যাধিগ্রস্থ রোগীদের সাথে একত্রে মিলেমিশে খাবার খেতে পারো, তাতে কোন বাধা-নিষেধ নেই, দোষ নেই, অসুবিধা নেই, বিপদ নেই, অশুভ নেই। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬১)

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফের বাংলা অনুবাদের দলীল-আদিল্লাহর মাধ্যমেই প্রমাণিত যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলামে তথা সম্মানিত শরীয়তে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই। সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে বিশ্বাস করা কাট্টা কুফরী ও শিরকীর অন্তর্ভুক্ত।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন নিজেই নিজের প্রকাশিত কিতাবের বিরুদ্ধে ফতওয়া প্রকাশ করে চরম মূর্খতার পরিচয় দিয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, বিএনপি জামাত চাচ্ছে লকডাউন জোরদার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার জন্য। মানুষ মারার জন্য এবং সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য। চিকিৎসা না পেয়ে, না খেয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে জনরোধ তৈরী করে দেশের ক্ষতি করে সরকারের গদি নড়িয়ে দিতে।

লকডাউন ব্যাপক জোরদার করে সরকারের পতন ঘটাতে।

ওলামা লীগ নেতারা বলেন, ধর্মব্যবসায়ীদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে অবিলম্বে আত্মঘাতি লকডাউন তুলে দিতে হবে। ‘করোনা ছোঁয়াচে বা মহামারী’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ ফতোয়া প্রত্যাহার করতে হবে। কাতারে ফাক করে দাড়ালে তার মধ্যে শয়তান ঢুকে এবং জামাত ফাসেদ হয়। তাই মসজিদে কাতার পূর্ণ করে দাড়াতে হবে। মাঠে ঈদের জামাত পড়তে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, আসন্ন পবিত্র কুরবানীতে করোনার মিথ্যা প্রচারনা, আতঙ্ক শক্ত হাতে বন্ধ করতে হবে। পবিত্র কুরবানী যাতে বাধাগ্রস্থ না হয়, গরীবের হক্ব যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে। কুরবানী ঈদে যাতে কুরবানীর হাট, স্থান নির্দিষ্ট করা ইত্যাদি নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা কোন চক্রান্ত করতে না পারে সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। গতবছর কুরবানীর স্থান নির্দিষ্টকারী চক্রান্তকারীরা নিজেরাও নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানী করেনি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ওলামালীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মাদ আকতার হুসাইন বোখারী,সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান সেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তার,ওলামা লীগের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মাদ শওকত হোসেন আলী শেখ ছিলিমপুরী।