কুড়িগ্রামের রৌমারী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২টি বাড়িসহ ৭টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল পুড়ে যায় ! তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রৌমারী বাজারের সোনালি ব্যাংকের পূর্বপাশে আলম হাজির একটি ফুড গোডাউন ঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
আগুনের শিখা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা কর্তিমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এ খবর দেয় ! ফায়ারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘন্টাব্যাপি চেষ্টায় পুলিশ ও বিজিবির সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় বাড়ির লোকজনের চিৎকারে আগুন নিভানোর জন্য এগিয়ে আসেন এলাকাবাসি ও ঘটনাস্থলের পাশেই অবস্থিত রৌমারী প্রেসক্লাবের সাংবাদিক’রা।
দীর্ঘক্ষণ পর আগুন নিভাতে সক্ষম হলেও ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক সাজু মিয়ার গুডাউন ঘরে থাকা এটিহক লি: পিকনিক কোম্পানী, প্রমান্ড, রাজা বিড়ি, ডিজিটাল বিডি ওসান লি: এর প্রায় ১২ লক্ষ টাকা, রাজু মিয়ার টাইলস, আরএফএল সামগ্রী অন্যান্য মালামালসহ প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা, নরেশের মোবাইলের দোকান ও অন্যান্য যন্ত্রাংশসহ ২ লক্ষ টাকা, শইমী ইমরান হিকিমের দোকানে সিসি ক্যামেরার যন্ত্রাংশ ও পিকনিক কেক ও কমান্ড কয়েলসহ প্রায় ২লক্ষ টাকা, স্বপনের সেলুন ঘরে থাকা মালামাল প্রায় ৫ লক্ষ টাকা, মোজাফ্ফর হোসেন চায়ের দোকানে থাকা মালামাল প্রায় ৪ লক্ষ টাকা, চাপাতির এজেন্ট রবিউল ইসলামের চাপাতি ও অন্যান্য মালামালাসহ ১ লক্ষ টাকা, কনিকা মেম্বাারের বসত বাড়ির আসবাপত্র ও ঘরসহ প্রায় ৪ লক্ষ টাকা, দোকান ঘর ও বাড়ির মালিক আলহাজ্ব রবিউল আলমের ঘর ও আসবাবপত্রসহ প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মালামাল ভস্মীভূত হয়। এতে সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়।
এ ব্যাপারে রৌমারীর কর্তিমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এর দায়িত্বরত অফিসার ময়নুল হক জানান, রাত সাড়ে ৮টার পর অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘন্টা খানেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুৎতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল যাই এবং সেখানে উপস্থিত থেকে আগুন নিভানোর কাজে সহযোগিতা করি। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে সরকারি ভাবে আর্থিক সহযোগিতার চেষ্টা করবো।