করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও তা ব্যবহারে বাড়ছে অনীহা। শ্বাস-প্রশ্বাসে কিছুটা সমস্যা এবং মাস্ক ব্যবহারে মুখ বন্ধ হয়ে থাকার কারণে অনেকেই মুখে মাস্ক না ব্যবহার করে মুখের নিচে দিয়ে রাখে। এর ফলে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, বাংলাদেশে ৮ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ি মাস্ক ব্যবহারের ধুম পড়ে।
সৃষ্টি হয় কিছু মৌসুমী মাস্ক বিক্রেতার। অনেকেই পেশা বদল করে নেমে পড়েন এই ব্যবসায়। অনেকগুণ বেড়ে যায় মাস্কের দাম। প্রথম দিকে এই মাস্ক ব্যবহারের জন্য জনগণের আগ্রহ থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমছে। বর্তমানে অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করলেও তা সঠিক নিয়মে করেন না। আবার অনেকেই একেবারেই ব্যবহার না করে চলাচল করছেন ইচ্ছামতো। কেউ কেউ পকেটে মাস্ক রেখেই ঘুরছেন। এর ফলে বাড়াচ্ছে ওই সব ব্যক্তিদের পাশাপাশি আশপাশের অন্যদেরও। রিক্সাচালক আব্দুল হামিদ বলেন, মাস্ক মুখে দিয়ে রিক্সা চালালে অনেক সময় দম লেগে যায়। মনে হয় আর চালাতে পারবো না। এজন্য পেটের দায়ে অনেক সময় মাস্ক মুখের নিচে দিয়ে রাখি।
ইজিবাইক চালক সুলতান মিয়া বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রথম দিকে সবাই মাস্ক ব্যবহার করথে খুব আগ্রহী ছিল। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই মাস্কই ব্যবহার করে না। দিনমজুর সাহিমা খাতুন বলেন, তার এমনিই শ্বাস কষ্টের সমস্যা। তারপরও কাজ করে খেতে হয়। তাই মাস্ক ব্যবহার করতে পারি না।
খুলনা জেলা ডেপটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাইদুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, মাস্ক মুখে সঠিক উপায়ে ব্যবহার না করলে আক্রান্তের ঝুঁকি অবশ্যই বাড়ছে। কেননা হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। মাস্ক ব্যবহারে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণে সমস্যা ছাড়া আরও কিছু সমস্যা হয়। তারপরও নিজে, নিজের পরিবার ও নিজের কমিউনিটিকে রক্ষা করার জন্য কষ্ট হলেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তবে কিছুটা কষ্ট নিবারণ করার জন্য গেঞ্জি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করেছেন এই কর্মকর্তা।