ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

খুলনা নগরীর দৌলপুরে লোডশেডিং, অতিষ্ট এলাকাবাসী

নগরীর দৌলতপুরে ঘন ঘন বিদ্যুতের বিভ্রাটের দেখা দিয়েছে। গভীর রাতে মাঝে মধ্যে এক ঘন্টা থেকে আধা ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে দৌলতপুর। ঘন ঘন বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। ভেপসা তাপদাহের সাথে বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গ্রাহকরা।

শনিবার সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ছন্দপতন হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। বিদ্যুতের সঞ্চালন ব্যবস্থায় ত্রুটি ও ট্রান্সফরমার ওভার লোডেড হওয়ার কারণে বিদ্যুতের বিভ্রাট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ওজোপাডিকোর বিক্রয় বিতরণ বিভাগ-২-এর সূত্র মতে, খুলনায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের জন্য চারটি বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র রয়েছে। খুলনায় ৭১টি ফিডার রয়েছে। এর মধ্যে গ্রাহক ফিডার ৪৮টি এবং এক্সপ্রেস ফিডার ২৩টি। বিতরণ লাইন রয়েছে এক হাজার পাঁচ কিলোমিটার। ট্রান্সফরমার রয়েছে ১ হাজার ৩৪৩টি। এসব ট্রান্সফরমার ওভার লোডেড ও সঞ্চালন লাইনের ত্রুটির এবং উন্নয়ন কাজের জন্য ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে বিভ্রাটও বেড়ে যায়। এতে গ্রাহকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

সূত্র জানায়, শনিবার দৌলতপুর এলাকায় প্রায় সারাদিন বিদ্যুত ছিল না। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। বিভিন্ন এলাকায় দুপর থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। দৌলতপুর দেয়ানা উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা এই প্রতিবেদককে বলেন, ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাচ্ছে। সেই সাথে রয়েছে লো ভোল্টেজ। ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া এবং বিদ্যুতের ভোল্টেজ আপ-ডাউন করার কারণে ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান, লাইটসহ ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া ফ্রিজে থাকা খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর সামান্য বৃষ্টি হলেই দৌলতপুরে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না।

তারা আরো বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফিডারে দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার এবং লাইন ম্যানদের গাফেলতির কারনে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একই কথা বললো কল্পোতরু মার্কেট এলাকার বাসিন্দারা বলেন, শনিবার বিকেল আনুমানিক ৪টায় বিদ্যুৎ যায় আর আসে রাত ৯টা নাগাদ। এ সময় গরমে অতিষ্ট হয়ে যাই। দৌলতপুর কেসিসি মার্কেটের মোবাইল মেরামতের কারিগর অলক দে জানান, বিদ্যুৎ যে গ্রাহকের সাথে লুকোচুরি খেলছে তা বুঝতে বাকি নেই।

কারণ বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন বলছেন, কাগজ কলমে তাদের কোন লোডশেডিং নেই। অথচ এলাকায় লোডশেডিং লেগেই আছে। জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, লাইন মেরামতের কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। কিন্তু গভীর রাতে দীর্ঘ সময় লোড শেডিং এলাকাবাসীদের ক্ষুব্দ করে তুলেছে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। কারণ তাদের কথার সাথে কাজের কোন মিল নেই। আকাশে মেঘ দেখা দিলে অথবা সামান্য বৃষ্টি দেখা দিলেই বিদ্যুৎ চলে যায়।

অত্র এলাকার বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীলরা সরকারের ভাবমূর্তি নস্ট করার জন্য কৌশলে এ কাজটি করছে বলে তিনি মনে করছেন। দৌলতপুর ফিডার ইঞ্জিনিয়ার মন্টু বিশ্বাস বলেন, বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন, ফল্ট, ট্রান্সফরমারের ফিউজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। ফলে কিছুটা বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। তবে কোন লোডশেডিং ছিল না।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

রাহুল গান্ধীকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা

খুলনা নগরীর দৌলপুরে লোডশেডিং, অতিষ্ট এলাকাবাসী

আপডেট সময় : ০৬:০৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০

নগরীর দৌলতপুরে ঘন ঘন বিদ্যুতের বিভ্রাটের দেখা দিয়েছে। গভীর রাতে মাঝে মধ্যে এক ঘন্টা থেকে আধা ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে দৌলতপুর। ঘন ঘন বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। ভেপসা তাপদাহের সাথে বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গ্রাহকরা।

শনিবার সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ছন্দপতন হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। বিদ্যুতের সঞ্চালন ব্যবস্থায় ত্রুটি ও ট্রান্সফরমার ওভার লোডেড হওয়ার কারণে বিদ্যুতের বিভ্রাট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ওজোপাডিকোর বিক্রয় বিতরণ বিভাগ-২-এর সূত্র মতে, খুলনায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের জন্য চারটি বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র রয়েছে। খুলনায় ৭১টি ফিডার রয়েছে। এর মধ্যে গ্রাহক ফিডার ৪৮টি এবং এক্সপ্রেস ফিডার ২৩টি। বিতরণ লাইন রয়েছে এক হাজার পাঁচ কিলোমিটার। ট্রান্সফরমার রয়েছে ১ হাজার ৩৪৩টি। এসব ট্রান্সফরমার ওভার লোডেড ও সঞ্চালন লাইনের ত্রুটির এবং উন্নয়ন কাজের জন্য ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে বিভ্রাটও বেড়ে যায়। এতে গ্রাহকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

সূত্র জানায়, শনিবার দৌলতপুর এলাকায় প্রায় সারাদিন বিদ্যুত ছিল না। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। বিভিন্ন এলাকায় দুপর থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। দৌলতপুর দেয়ানা উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা এই প্রতিবেদককে বলেন, ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাচ্ছে। সেই সাথে রয়েছে লো ভোল্টেজ। ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া এবং বিদ্যুতের ভোল্টেজ আপ-ডাউন করার কারণে ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান, লাইটসহ ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া ফ্রিজে থাকা খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর সামান্য বৃষ্টি হলেই দৌলতপুরে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না।

তারা আরো বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফিডারে দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার এবং লাইন ম্যানদের গাফেলতির কারনে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একই কথা বললো কল্পোতরু মার্কেট এলাকার বাসিন্দারা বলেন, শনিবার বিকেল আনুমানিক ৪টায় বিদ্যুৎ যায় আর আসে রাত ৯টা নাগাদ। এ সময় গরমে অতিষ্ট হয়ে যাই। দৌলতপুর কেসিসি মার্কেটের মোবাইল মেরামতের কারিগর অলক দে জানান, বিদ্যুৎ যে গ্রাহকের সাথে লুকোচুরি খেলছে তা বুঝতে বাকি নেই।

কারণ বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন বলছেন, কাগজ কলমে তাদের কোন লোডশেডিং নেই। অথচ এলাকায় লোডশেডিং লেগেই আছে। জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, লাইন মেরামতের কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। কিন্তু গভীর রাতে দীর্ঘ সময় লোড শেডিং এলাকাবাসীদের ক্ষুব্দ করে তুলেছে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। কারণ তাদের কথার সাথে কাজের কোন মিল নেই। আকাশে মেঘ দেখা দিলে অথবা সামান্য বৃষ্টি দেখা দিলেই বিদ্যুৎ চলে যায়।

অত্র এলাকার বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীলরা সরকারের ভাবমূর্তি নস্ট করার জন্য কৌশলে এ কাজটি করছে বলে তিনি মনে করছেন। দৌলতপুর ফিডার ইঞ্জিনিয়ার মন্টু বিশ্বাস বলেন, বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন, ফল্ট, ট্রান্সফরমারের ফিউজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। ফলে কিছুটা বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। তবে কোন লোডশেডিং ছিল না।