কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থদের প্রয়োজনে হাসপাতালে স্থানান্তরে ‘ফ্রি’ এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করলো গতকাল রবিবার থেকে এবং গত প্রায় ৩ মাসাধিকাল ধরে খুলনা মহানগরীতে নিরলস মানবিক সহয়তা পরিচালনাকারী জনগনের আস্থা ও ভালবাসার রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপি। গতকাল রবিবার দুপুর ১২টায় করোনা আক্রন্তদের সেবায় প্রতিষ্ঠিত নগরীর ৫৭, স্ট্যান্ড রোডস্থ অস্থায়ী ‘কল সেন্টার’ কার্যালয়ে এই জরুরী গুরুত্বপুর্ণ সেবা কর্মসুচির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, জাফরউলাহ খান সাচ্চু, এড. ফজলে হালিম লিটন, রেহেনা ঈশা, স ম আব্দুর রহমান, অধ্য তারিকুল ইসলাম, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দিপু, মহিবুল্লাহ কচি, শেখ সাদী, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, আল জামাল ভুইয়া, হাসানুর রশিদ মিরাজ, শামসুজ্জামান চঞ্চল, শরিফুল ইসলাম বাবু, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, শরিফুল ইসলাম জলি, বদরুল আনাম খান, আবু সাইদ আব্বাস, মেজবাহ উদ্দি মিজু, কামরান হাসান, কাজী মাহমুদ আলি, খান শহিদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম লিটন, কে এম মাহবুব আলম, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, মোহাম্মদ আলি, শরিফুল ইসলাম সাগর, খান সাইফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম শরীফ, এমরান হোসেন, আবু তালেব, মো, মামুন, কাওসারী জাহান মঞ্জু, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
নগরবাসীর প্রয়োজনে এই ‘ফ্রি’ এ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে ‘কল সেন্টার’ এ যোগাযোগের মোবাইল নম্বর ছাড়াও আসাদুজ্জামান মুরাদ- ০১৭১১-৪৪৩৪৬৬, সিরাজুল ইসলাম লিটন- ০১৭১১-২৮০২৩৪ ও সোহেল খন্দকার- ০১৯১২-৫৫৭২৮২ দায়িত্বপ্রাপ্তদের যোগাযোগে অনুরোধ করা হচ্ছে। এ্যাম্বুলেন্স সেবা উদ্বোধন কালে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, নগরীতে দিন দিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসা সেবা প্রদানে চরম অপ্রতুল্য ব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা বিদ্যামান। মাত্র একটি পিসিআর মেশিনে নমুনা পরীক্ষা তাও সমগ্র বিভাগের জন্য কোন অবস্থাতেই যথাযথ বলা যায় না।
তারপরও মরার উপর খাঁড়ার ঘা এর মত নমুনা পরীক্ষার ফি ধার্য করা হয়েছে। ফলে নমুনা পরীক্ষার হার কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। করোনা চিকিৎসার জন্য একটি মাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল ৮৫টি বেড। এমতাবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মানুষ বাড়িতে নিজ ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৯৫ভাগ মানুষ। জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন সিলিন্ডারের মুল্যে বর্তমান বাজারে সাধারণের নাগালের বাইরে।
জরুরী প্রয়োজনে এ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে রোগী ও তার পরিজনদের দুর্বিষহ ভোগান্তি পোহাতেই হচ্ছে। বিনা ভোটের কথিত জনপ্রতিনিধিদের সিংহভাগই জনদুর্ভোগের এই মহাসংকটে লাপাত্তা। এমতাবস্থায় জনগনের কাছে নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তার চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পনুপ্রেরনায় এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ তত্বাবদানে সীমিত সামর্থ্য নিয়ে জনগনের পাশে দাঁড়িয়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই নগরীর ৫৭, স্ট্যান্ড রোডে রহমান ভিলার অস্থায়ী কার্যালয়ে ‘কল সেন্টার’ কার্যক্রমের সুচনা করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন সেবা কার্যক্রম যথেষ্ট গতিশীলতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে। অন লাইনে ৩জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র এবং পরামর্শ প্রদান করছেন। একই সাথে লকডাউনে আটকে পড়া ও অপেক্ষাকৃত দুর্বল আর্থিক অবস্থার রোগী ও পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ দলের স্বেচ্ছাসেবকরা সংশ্লিষ্টদের বাড়িকে পৌছে দিচ্ছেন। গত এপ্রিল মাস থেকে লকডাউন চলাকারীন সময়ে উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়া নি¤œ আয়ের প্রায় ২৫ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহয়তা কর্মসুচি পরিচালনা করেছে খুলনা মহানগর বিএনপি।
এছাড়াও দলের নানাস্তরের নেতা-কর্মিরা ব্যক্তিগত ও দলগত উদ্যোগে আরও প্রায় ২৫ হাজার পরিবারকে অনুরূপ সহায়তা প্রদান করে সামাজিক দায়িত্ববোধের এক অনন্য নজীর স্থাপন করেছে। গত ২০মে প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ খুলনার কয়রা ও পার্শ্ববর্তী সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরা, কাশিমারী, শ্রীউলায় অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদানেও যথাযথ ভুমিকা রেখেছে খুলনা বিএনপি। করোনার প্রভাব নিয়ন্ত্রিত না হওয়া পর্যন্ত খুলনা মহানগর বিএনপি নগরবাসীর প্রয়োজনে সম্ভব সব ধরণের সহযোগিতা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বলে নেতৃবৃন্দ আশা ব্যক্ত করেন।