খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের অধিনে নিয়োগকৃত ২১১ জন আউট সোর্সিং কর্মচারির ১৩ মাস পর বেতন পরিশোধ করা হল। রোববার থেকে পর্যায়ে ক্রমে ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের খুলনা সদর হাসপাতাল ও আরবান হাসপাতালে দ্বায়িত্বরত আউট সোর্সিং কর্মচারিদের সোনালী ব্যাংক এর সেভিং এ্যাকাউন্ট এর চেকের মাধ্যমে বেতন দিয়েছে আউটট সোর্সিং কর্মচারিদের সরবারাহকারি ঠিকাদার মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজের পরিচালক মোঃ ইখতিয়ার হোসেন।
এদিকে প্রায় ১৩ মাস পর একসাথে সব বেতন পেয়ে খুসি হয়েছেন আউট সোর্সিং কর্মচারিরা। তাছাড়া কয়েকজন আউট সোর্সিং কর্মচারিকে বেতন পেয়ে আবেগে কান্না করতে দেখা যায়। বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের আউট সোর্সিং আব্বাস বলেন, এক বছরের বেশি সময়ে ধরে কাজ করেছি কোন বেতন পাইনি। একসাথে বেতন পেলাম মন অনেক ভাল। খুবই সমস্যার মধ্যে জীবন চলছিল। এখন এককালিন কিছু টাকা পেয়েছি। এই টাকা দিয়ে কিছু করা যাবে।
তেরখাদা হাসপাতালের আউট সোর্সিং কর্মচারি নাজমা বলেন, আমরা খুবই হতাশার মধ্যে ছিলাম। একসাথে চেকের মাধ্যমে বেতন পেয়ে খুবই আনন্দিত। আমাদের ঠিকাদর মোঃ ইখতিয়ার পুনারায় সকলকে স্ব স্ব হাসপাতালে কাজে যোগদানের আহবান করেছেন। আমরা আবারও কাজে যোগদান করব। মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রইজের পরিচালক ইখতিয়ার হোসেন বলেন, এক সাথে এত জনসমাগম করে বেতন দেয়া যাবে না। তাই পর্যায়েক্রমে সকলকে বেতন দেয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র রুপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের ও পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের বেতন বকেয়া আছে। তাদের বেতন দ্রুত দিয়ে দিব।
তাছাড়া এখনও খুলনা ফুলবাড়ীগেট সংক্রামন হাসপাতাল’র বেতন পাওয়া যায়নি। ওই হাসপাতালটি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে তাদের কোন বেতন আসেনি। তারপরও আমরা নিজের থেকে তাদের বেতন পরিশোধ করে দিচ্ছি। সকল আউট সোর্সিং কর্মচারিদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। হয়তো আমার প্রতিষ্ঠান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের কাজের আউট সোর্সিং কর্মচারিদের সরবরাহর জন্য মেয়াদ পাবে। খুলনা সিভিল সার্জন ডাক্তার সুজাত আহমেদ বলেন, আউট সোর্সিং কর্মচারিদের বেতন পরিশোধ হয়েছে। তাছাড়া সকল আউট সোর্সিং কর্মচারি নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করে হাসপাতালের অসুস্থ্য রোগীদের সেবা দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।