ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে করোনার মধ্য বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক

মেহেরপুরের গাংনীতে করোনার মধ্য বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। কয়েকদফা ঝড়-বৃষ্টি ও-গরমে স্যাত স্যাতে পরিবেশ। বাড়ির আশেপাশে আগাছা বৃদ্ধি পাওয়ায় মশার বংশ বিস্তার যেমন ঘটছে তেমনি ড্রেনসহ যত্রতত্র জমে আছে নোংরা আর্বজনা ও ময়লা পানি। সচেতন মহল বলছেন, শহর কেন্দ্রীক পরিস্কার পরিছন্নতার কিছুটা উদ্যোগ থাকলেও তেমন কোন উদ্যোগ নেই গ্রামাঞ্চলে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ডেঙ্গু চিকিৎসা নিয়ে সব ধরনের কার্ষক্রম শুরু করা হয়েছে।

মেহেরপুরের গাংনী এলাকায় কয়েক দফা ঝড়-বৃষ্টি আর ভ্যাপসা গরমে এলাকার পরিবেশ অত্যন্ত শোচনীয়। অফিস আদালত ও বাড়ির আশে পাশে ঝোড় জঙ্গল বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া গর্ত ও ড্রেনসহ আবর্জনা ও ময়লা পানি জমে থাকায় মশার বংশ বিস্তার ঘটছে। এডিস মশা নিধনে পৌর এলাকায় প্রতিনিয়ত ফগার মেশিন দিয়ে বিষ স্প্রে করলেও গ্রামাঞ্চলে নেই পরিস্কার পরিছন্নতার তেমন উদ্যোগ। শহরে জনগনকে নানা ভাবে সচেতনতার উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। এদিকে সরকারী হাসপাতাল ও উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকায় ঝোড় জঙ্গল পরিষ্কার করা হয় না। আবাসিক এলাকা গুলি মশার আবাস ভুমিতে পরিনত হয়েছে।

শহরে মাঝে মধ্যে দু’একটি ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করতে দেখা যায়। পাড়া মহল্লাতে কোন বিষ ছিটাতে দেখা যায় নি। তাছাড়া জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের কোন উদ্যোগ নেই। ঝোপ ঝাড়ও পরিষ্কার করতে দেখা যায় না। জনগনের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর কোন প্রচার প্রচারণাও নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোন ভুমিকা চোখে পড়ে না। এডিস মশা নিধনে কেউ জানেনা কী করণীয়। এ কারণে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু আতঙ্কও প্রকট হয়ে উঠেছে।

ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান জানান, ডেঙ্গু মোকাবেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে বরাদ্দ না থাকায় কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কোন তহবিল নেই। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একই কথা জানালেন ষোলটাকা, রাইপুর ও কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান।

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাদিয়া সুলতানা জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ডেঙ্গু চিকিৎসা নিয়ে সব ধরনের কার্ষক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি সেফটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে যেখানে কোনটা করোনা রোগি আর কোনটা ডেঙ্গু রোগি তা নির্নয় করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মীদের দিয়ে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন জানান, ডেঙ্গু মোকাবেলায় নানা বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন ইউপিতে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

গাংনীতে করোনার মধ্য বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক

আপডেট সময় : ০৫:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুন ২০২০

মেহেরপুরের গাংনীতে করোনার মধ্য বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। কয়েকদফা ঝড়-বৃষ্টি ও-গরমে স্যাত স্যাতে পরিবেশ। বাড়ির আশেপাশে আগাছা বৃদ্ধি পাওয়ায় মশার বংশ বিস্তার যেমন ঘটছে তেমনি ড্রেনসহ যত্রতত্র জমে আছে নোংরা আর্বজনা ও ময়লা পানি। সচেতন মহল বলছেন, শহর কেন্দ্রীক পরিস্কার পরিছন্নতার কিছুটা উদ্যোগ থাকলেও তেমন কোন উদ্যোগ নেই গ্রামাঞ্চলে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ডেঙ্গু চিকিৎসা নিয়ে সব ধরনের কার্ষক্রম শুরু করা হয়েছে।

মেহেরপুরের গাংনী এলাকায় কয়েক দফা ঝড়-বৃষ্টি আর ভ্যাপসা গরমে এলাকার পরিবেশ অত্যন্ত শোচনীয়। অফিস আদালত ও বাড়ির আশে পাশে ঝোড় জঙ্গল বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া গর্ত ও ড্রেনসহ আবর্জনা ও ময়লা পানি জমে থাকায় মশার বংশ বিস্তার ঘটছে। এডিস মশা নিধনে পৌর এলাকায় প্রতিনিয়ত ফগার মেশিন দিয়ে বিষ স্প্রে করলেও গ্রামাঞ্চলে নেই পরিস্কার পরিছন্নতার তেমন উদ্যোগ। শহরে জনগনকে নানা ভাবে সচেতনতার উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। এদিকে সরকারী হাসপাতাল ও উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকায় ঝোড় জঙ্গল পরিষ্কার করা হয় না। আবাসিক এলাকা গুলি মশার আবাস ভুমিতে পরিনত হয়েছে।

শহরে মাঝে মধ্যে দু’একটি ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করতে দেখা যায়। পাড়া মহল্লাতে কোন বিষ ছিটাতে দেখা যায় নি। তাছাড়া জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের কোন উদ্যোগ নেই। ঝোপ ঝাড়ও পরিষ্কার করতে দেখা যায় না। জনগনের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর কোন প্রচার প্রচারণাও নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোন ভুমিকা চোখে পড়ে না। এডিস মশা নিধনে কেউ জানেনা কী করণীয়। এ কারণে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু আতঙ্কও প্রকট হয়ে উঠেছে।

ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান জানান, ডেঙ্গু মোকাবেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে বরাদ্দ না থাকায় কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কোন তহবিল নেই। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একই কথা জানালেন ষোলটাকা, রাইপুর ও কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান।

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাদিয়া সুলতানা জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ডেঙ্গু চিকিৎসা নিয়ে সব ধরনের কার্ষক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি সেফটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে যেখানে কোনটা করোনা রোগি আর কোনটা ডেঙ্গু রোগি তা নির্নয় করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মীদের দিয়ে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন জানান, ডেঙ্গু মোকাবেলায় নানা বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন ইউপিতে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে।