গাংনী উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার বিদ্যুত বিল বকেয়া রয়েছে সাড়ে ২৬ লাখ টাকা। বারবার তাগিদ দিলেও বিল পরিশোধ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে কর্মচারীদের বেতন প্রদানে হিমশিম খাচ্ছেন পল্লি বিদ্যুত সমিতি।
পল্লী বিদ্যুত সমিতি সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( মেইন মিটার) ১৯৯৮ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত বকেয়া ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৯১৬ টাকা, অফিস ভবন ২০১৮ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত এক লাখ ৩৮ হাজার ৬৪৩ টাকা, আবাসিক ভবনে ৫৪ হাজার ৭২৭ টাকা, পানির পাম্প ৩৬ হাজার ৭৩৩ টাকা ও রাস্তার বাতির মিটারে ১০ হাজার ৪৯৫ টাকা সহ মোট ১৬ লাখ ১২ হাজার ৫১৪ টাকা বকেয়া পড়েছে। প্রতিমাসে বিল পরিশোধ ও কয়েকমাস পরপর বিল পরিশোধের তাগিদ দেয়া হলেও কোন সদুত্তর পাওয়া যায় না।
এদিকে গাংনী পৌরসভার বিভিন্ন সময়ে বকেয়া পড়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯ টাকা। বিভিন্ন সময়ে মেয়রগণ দায়িত্বে থাকলেও বিদ্যুত বিল পরিশোধ করেন নি। বার বার পত্র প্রেরণ করলেও বিদ্যুত বিল পরিশোধ না করায় সমস্যা দেখা দিয়েছে।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের ডিজিএম নিরাপদ দাস জানান, বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে নগদ বিদ্যুত ক্রয় করে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করে থাকে পল্লী বিদ্যুত সমিতি। অথচ সরকারী অফিসে বিদ্যুত বিল পরিশোধ করছে না। এতে কর্মচারীদের বেতন প্রদান ছাড়াও বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের পাওনা পরিশোধে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিল পরিশোধের জন্য তাগিদ দিলেও কোন কাজ হচ্ছে না। আবার বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাও যাচ্ছে না।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, বিভিন্ন সময়ে বিল পরিশোধ না করায় এমনটি হয়েছে। ফাইলপত্র দেখে বিল পরিশোধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম জানান, গেল জানুয়ারীতে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আবারো বিল বাকি পড়েছে। পৌরকর আদায় সাপেক্ষে বিদ্যুত বিল পরিশোধ করা হয়। কিন্তু গাংনী উপজেলা পরিষদ গত দুবছর কোন কর প্রদান করেনি তাই বিদ্যুত বিল পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে। তাড়াতাড়ি বিল পরিশোধ করা হবে।