ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধা বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের মানববন্ধন

সারাদেশে নারী-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল সোমবার জেলা শহরের ১নং ট্রাফিক মোড়ে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা বাসদ (মার্কসবাদী)র সদস্য সচিব মনজুর আলম মিঠু, নারীমুক্তি কেন্দ্রের জেলা সভাপতি রোকেয়া খাতুন, হালিমা খাতুন, পারুল বেগম, শামিম আরা মিনা, সাংস্কৃতিক কর্মী শাহনাজ আমিন মুন্নী, গাইবান্ধা কলেজিয়েট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আফরোজা খানম লিলি প্রমুখ।

বক্তরা বলেন, করোনা মহামারী সময়েও নারী-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত একমাসে শুধু গাইবান্ধাতেই গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক শিশুর জননী, স্কুল শিক্ষক কর্তৃক শিশু গৃহ পরিচারিকা এবং ভন্ড কবিরাজ কতৃক তিন শিশু। ধর্ষকদের বেশিরভাগই এখনো গ্রেফতার হয়নি। যারা গ্রেফতার হয় তারাও আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে রক্ষা পেয়ে যায়। দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি না হওয়ায় ধর্ষণ-নির্যাতন বেড়েই চলেছে।

সিনেমা-নাটক এবং ধর্মীয় গুরু-মোল্লাদের বক্তৃতায় নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে উপস্থাপনের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে নারী নির্যাতন-ধর্ষণ। তারা নারী-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যা বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ করার জোর দাবী জানান। নেতৃবৃন্দ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের চরম ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপের দাবী করেন। তারা বলেন, জেলা ও উপজেলায় করোনা টেষ্টের ল্যাব স্থাপনসহ সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের রেশনে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

গাইবান্ধা বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১১:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০

সারাদেশে নারী-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল সোমবার জেলা শহরের ১নং ট্রাফিক মোড়ে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা বাসদ (মার্কসবাদী)র সদস্য সচিব মনজুর আলম মিঠু, নারীমুক্তি কেন্দ্রের জেলা সভাপতি রোকেয়া খাতুন, হালিমা খাতুন, পারুল বেগম, শামিম আরা মিনা, সাংস্কৃতিক কর্মী শাহনাজ আমিন মুন্নী, গাইবান্ধা কলেজিয়েট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আফরোজা খানম লিলি প্রমুখ।

বক্তরা বলেন, করোনা মহামারী সময়েও নারী-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত একমাসে শুধু গাইবান্ধাতেই গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক শিশুর জননী, স্কুল শিক্ষক কর্তৃক শিশু গৃহ পরিচারিকা এবং ভন্ড কবিরাজ কতৃক তিন শিশু। ধর্ষকদের বেশিরভাগই এখনো গ্রেফতার হয়নি। যারা গ্রেফতার হয় তারাও আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে রক্ষা পেয়ে যায়। দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি না হওয়ায় ধর্ষণ-নির্যাতন বেড়েই চলেছে।

সিনেমা-নাটক এবং ধর্মীয় গুরু-মোল্লাদের বক্তৃতায় নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে উপস্থাপনের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে নারী নির্যাতন-ধর্ষণ। তারা নারী-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যা বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ করার জোর দাবী জানান। নেতৃবৃন্দ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের চরম ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপের দাবী করেন। তারা বলেন, জেলা ও উপজেলায় করোনা টেষ্টের ল্যাব স্থাপনসহ সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের রেশনে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।