অবশেষে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের জালে ধরা পরলো কখনো ডিআইজি, কখনো সেনা কর্মকর্তা বা কখনো নারী নেত্রী পরিচয় দানকারী চিটার মাসুদ। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এরআগে গত ১৪ জুন রাত অনুমানিক ৮টার সময় এই চিটার মাসুদ সরকার (২৮) সে তার পাশের বাড়ীর প্রবাসী জাকিরের কন্ঠ নকল করে জাকিরের মামীকে ফোনে এই ধৃত মাসুদ বলে “মামী আমি জাকির, সৌদি পুলিশের কাছে ধরা পরেছি, মাকে ফোন দেন ১০ মিনিটের মধ্যে ৩০ হাজার টাকা বিকাশে না দিলে আমাকে জেলে ঢুকাবে এবং পুলিশ আমাকে মারপিট করছে।
এই ফোন পেয়ে জাকিরের পরিবার জাকিরকে বাঁচানোর জন্য তার দেয়া বিকাশ নং এ দুই ভাগে ২৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়। এর কিছু সময় পর পুনরায় জাকির ফোন করে কান্নাকাটি করে এবং ১৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। জাকিরের পরিবার টাকা সংগ্রহ করে ঐ ফোন নং এ ফোন দিলে তারা ফোন নং টি বন্ধ পায়।তখন পরিবারের সন্দেহ হলে জাকিরের বাবা থানা এসে অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিশ্চিত হয় এই চিটার মাসুদ নিজে তার বেনামি ফোন সিম ব্যবহার করে ২৫ হাজার টাকা চিট করেছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় তার সহযোগী একই গ্রামের তুহিন সহ কতিপয় সিম বিক্রয়কারীর সহায়তায় বেনামে সিম কিনে, কখনো বা কারো নম্বর ক্লোন করে, কখনো নারী কন্ঠ নকল করে প্রতারণা করে আসছিলো।
উল্লেখ্য যে, এছাড়াও গত ১৯ জুন উক্ত মাসুদ নিজেকে পুলিশ হেডকোয়ার্টাস এর ডিআইজি মাসুদ পরিচয় দিয়ে তার নিজের মামলা সংক্রান্তে থানার কোন এক অফিসারের নিকট তদবির করে।তার আগে সে নিজের বৌএর কন্ঠ নকল করে জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে ফোন করে মিথ্যা অভিযোগ করে। এই প্রতারক এ রকম অজ¯্র ঘটনার নায়ক বলে জানায় স্থানীয়রা। আটক চিটার মাসুদ সরকার (২৮) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর মধ্যপাড়ার গ্রামের মজিদ সরকারে ছেলে ।
এখবর নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান জানান,আটককৃতম চিটার মাসুদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আদালতে মাদক সহ আরো ৬টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।