গ্যাসের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় রপ্তানি খাত পিছিয়ে পড়বে বলে চিন্তা করছেন তারা।
শিল্প মালিকরা বলছেন, গ্যাসের দাম ১৭৯ শতাংশ বাড়ানোয় রপ্তানি খাত পিছিয়ে পড়বে। জ্বালানিতে ভর্তুকি কমাতে দীর্ঘমেয়াদে সমন্বিত নীতিমালার তাগিদ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে দেড়শ শতাংশের বেশি। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাসের দাম। এর আগে গেল সপ্তাহে বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দামও।
সরকারের দাবি, ভর্তুকি সমন্বয়ের জন্য জনস্বার্থে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এর ফলে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ভর্তুুকি ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরাও। কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি নিশ্চিত করতে এর জন্য সমন্বিত নীতিমালাও জরুরি, বলছেন তারা।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ জানান, হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির ফলে সঙ্কট তৈরি হবে। নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
জ্বালানি বিশ্লেষক ইজাজ হোসেন বলেছেন, ভর্তুকি অবশ্যই কমাতে হবে। তবে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এক লাফে বেশি হারে দাম না বাড়িয়ে ধাপে ধাপে মূল্য সমন্বয় করা উচিত।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে দেশিয় গ্যাস ক্ষেত্রের কূপ খননে বাড়তি বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।