কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে মসজিদের সোলার ব্যাটারী চুরির অভিযোগ এনে এক কিশোরকে অমানবিক নির্যাতন করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ১৫/১৬দিন আগে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মংলার কুটি গ্রামের মসজিদ থেকে একটি সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারী চুরি হয়। চোর সন্দেহে স্থানীয় জাফর আলী মুন্সী, আব্দুল হান্নানসহ ১০/১২ জনের একটি দল ওই গ্রামের কিশোর মাহবুবুর রহমান(১৫) কে গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় তার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে ! এরপর জাফর আলী মুন্সীর বাড়িতে ইউপি সদস্য রাজুর সামনে কিশোরকে সোলার চুরির অপবাদ দিয়ে একটি গাছের সাথে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালায় । পরে বাশডলা দিয়ে মধ্য যুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি।
কিশোরকে নির্যাতনের সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই সময় কিশোরের মা মালেকা বেগম ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তার সামনে নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। মারপিটে কিশোর মাহবুবুর অজ্ঞান হয়ে পরলে মায়ের সাথে বাড়িতে পাঠায় তারা ।পরে তাকে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার মা।
এদিকে এই অমানবিক ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানের নজরে আসে ! পরে তার নির্দেশে রাতেই অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত রাজু ও জাফর আলীকে আটক করে। আটকরা হলেন, উপজেলার বলদিয়া ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদ ও স্থানীয় মাতাব্বর জাফর আলী। তবে ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদ এর পরিবারের লোকজনদের দাবী ওই কিশোরকে উদ্ধার করার জন্য সেখোনে গিয়েছিলো তিনি।
কচাকাটা থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছ এবংমামলার প্রস্তুতি চলছে !