কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টির পানির তোড়ে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পুড়াপাড়া-পীরপুর সড়কে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কটির কিছু অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়কটির একাংশ মাথাভাঙ্গা নদীতে নিমজ্জিত হলে জনবহুল এই সড়কটি মানুষ চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়বে।
এলাকাবাসীর দাবি, অত্যন্ত ব্যস্ততম এই সড়কটি ধসে পড়ার আগেই দ্রুত মেরামত করা হোক। না হলে চলতি বর্ষা মৌসুমে বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হলে সংযোগ সড়কসহ সেতুটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দামুড়হুদা উপজেলার পুড়াপাড়া-পীরপুর সড়কে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপরে সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। ২০০৪ সালে সেতুটি উদ্বোধনের পর যানবাহন ও মানুষ চলাচল শুরু হয়। সম্প্রতি অতিবৃষ্টির ফলে সেতুটির দক্ষিণ পুর্বকোণে বৃষ্টির পানির তোড়ে সড়কটির কিছু অংশ ভেঙে যায়।
সড়কটি ভেঙে পড়লে পুড়াপাড়া-বিষ্ণুপুর,জুড়ানপুর,ইব্রহীমপুর,কলাবাড়ি,রামনগর, গোপালপুর,পিরপুরসহ ১৫/১৬টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
উপজেলার কেশবপুর গ্রামের কৃষক সংগঠনের সভাপতি সামসুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গা অংশ দিয়ে বৃষ্টির পানি দ্রুত নদীতে নেমে যাওয়ার কারণে সড়কটির ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে ৩/৪ ফুটের বেশি ভেঙে গেছে। ফলে সেতুর সংযোগ সড়ক ও সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কয়েকদিন আগে বিষ্ণুপুর গ্রামের কুতুবমিয়া, রশহিদ ও আলামিন সহ কয়েকজন যুবক নিজ উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ সড়কটির ধসে যাওয়া অংশে মাটি ভরাটের মাধ্যমে সংস্কার করেছিলেন। বৃষ্টির পানিতে সেই মাটি ধসে আবারও গর্ত হয়ে গেছে।
জুড়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সোহরাব হোসেন বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের সেতুর মুখে বৃষ্টির পানিতে যে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে তা দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলজিইডি’র দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী মি.মাহবুব জানান,২/১ দিনের মধ্যেই আমরা মহিলা লেবার লাগিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি অস্থায়ী মেরামতের কাজ শুরু করবো। আর জুলাইয়ের দিকে আমরা সড়কটির স্থায়ী সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়ে আগস্ট অথবা সেপ্টেম্বরের মধ্যে এটি শেষ করে ফেলবো।