ছাতকে বাবুল চন্দ্র দেব (৩৮) নামের এক কলেজ শিক্ষককে মারধর করে আহত করেছে ছাত্র। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কলেজ গেট সংলগ্ন ছাত্রীছাউনির পিছনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহত অবস্থায় তাকে সিলেটের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।
জানা যায়, সিলেট থেকে ব্যক্তিগত কাজে শুক্রবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জে আসেন গোবিন্দগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বাবুল চন্দ্র দেব। সন্ধ্যা ৬টার দিকে কলেজ গেট সংলগ্ন গেলে তাকে মাটিতে ফেলে মারধর করে আহত করে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে আশ পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মুহিউদ্দিন, ইসলামি ইতিহাসের প্রভাষক আকবর আলী, জাপা নেতা আবুল লেইছ কাহার,আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল করিম, আবদুস সামাদ, ফারুক আহমদ শামীম আহমদ,খালেদ আহমদ, কাওছার আহমদ ও মাওলানা আখতার হোসেনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। নেতৃবৃন্দরা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানান। পরে রাতেই তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আহত শিক্ষক বাবুল চন্দ্র দেব জানান, বৃহস্পতিবার গোবিন্দগঞ্জ কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় যাকে থানা পুলিশে সোপর্দ করার পরে ছেড়ে আনা হয়েছিল সেই যুবক রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধরা পাইপসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে তার মাথাসহ শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মারাত্বক জখম করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কলেজের প্রভাষক আকবর আলী বলেন, ৪বছর আগে রেজাউল ইসলাম অনার্সে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু ভর্তির পর সে কোন পরিক্ষায় অংশ নেয় নি। সুতরাং তার ছাত্রত্ব আছে বলে মনে হয়নি।
শিক্ষককে আহতের বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী রেজাউল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,এ ঘটনা সঙ্গে সে জড়িত নয়।
এব্যাপারে ওসি মাহবুবুর রহমান জানান,বিভিন্ন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়েছি,শিক্ষক আহত হলে ও এখনো লিখিত অভিযোগ পায়নি।