ছাতকে প্রবাসীর বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য ও অন্যান্য সহযোগিরা জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় সৃনামগঞ্জ আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত রোববার সকালে সুনামগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে কূখ্যাত ডাকাত আনফর ওরফে আনহার, সাইফুল ইসলাম সফিক ও আলি হোসেনসহ তিনজন স্বেচ্ছায় ডাকাতির ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
এ চত্রেুর মাধ্যমে সুনামগঞ্জ ও সিলেটের আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য হলেন আনফর ওরফে আনহার(২৪) সিলেটের ওসমানীনগর থানার কালাচরা দত্তগ্রামের মৃত. সফর আলীর ছেলে, সাইফুল ইমলাম ওরফে সফিক (২৩) একই থানার রবিদাস পালপুর গ্রামের আলিম উল্লাহর ছেলে, আলী হোসেন (২৮) আইলাকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের পুত্র ।
জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও ইউপির জালালপুর গ্রামে প্রাবসীর বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
অস্ত্রধারী ১০-১৫ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হানা দিয়ে ১৯ ভরি স্বর্র্ণালংকার, নগদ ৯৩ হাজার টাকা, মোবাইলসেটসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেন। এ সময় গ্রামবাসীদের সহযোগীতায় ৪ জন ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হন। ডাকাত দলের হামলায় প্রবাসী ও তার পবিারের ৭ সদস্য আহত হন। এ ঘটনার খবর পেয়ে থানার ওসি মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে এস আই গোলাম ফাত্তাহ মুরশেদ চৌধুরী, এসআই আসাদুজ্জামান, এসআই মাইনুল, এসআই মোশারফ, এসআই শাহিন হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছে জগন্নাতপুর উপজেলার চকতিলক গ্রামের বেলায়েতের ছেলে ডাকাত জুয়েল ওরফে লাল মিয়া(২৯), একই উপজেলার জামালপুর (রৌডর) গ্রামের মৃত. শহিদ উল্লাহর ছেলে সাইফুল ওরফে সাইকুল (২৩), সাইফুল ইমলাম ওরফে সফিক (২৩), আনফর ওরফে আনহার (২৪) কে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত একটি পাইপ গান, ৩ টি কাটুজ, ১ টি চাইনিজ কুড়াল ও ২ টি তালা জব্দ করে।
গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক, ছাতক দোয়ারাবাজার সার্কেলের নেতৃত্বে থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আরিফুল আলম, এস আই গোলাম ফাত্তাহ মুরশেদ চৌধুরী, এসআই শাহিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স সিলেটের ওসমানীগর থানার তাজপুর গয়াসপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে নাজমিন আক্তার মনির বাসার নিচ তলা থেকে আইনাকান্দি গ্রামের মৃত. আব্দুল করিমের ছেলে আলী হোসেন (২৮) কে আটক করে। এ সময় ডাকাতির ঘটনার ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল ফ্যাশন প্রো, ২টি ঘড়ি ও ১টি মোবাইল সেট উদ্ধার করেন। ডাকাত আলী হোসেনের দেওয়া তথ্য মতে ওই দিন বিকেলে সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক ছাতক সার্কেল, সহকারী পুলিশ সুপার সুভাশীষ, জগন্নাতপুর সার্কেল, ছাতক থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আরিফুল আলম, এস আই গোলাম ফাত্তাহ মুরশেদ চৌধুরী, জেলার জগন্নাতপুর থানার অফিসার ফোর্স জগন্নাতপুর থানার তিলক গ্রামে অভিযান চালিয়ে পলাতক ডাকাত আব্দুল কাইয়ুমের কক্ষ থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় জালালপুর গ্রামের মৃত. মাস্টার উস্তার আলীর ছেলে প্রবাসীর ভাই সাইফুল ইসলাম ডালিম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা নং ১৭ দায়ের করেন। একই তারিখে পুলিশ বাদী হয়ে অপর আরেকটি অস্ত্র মামলা নং-১৮ দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে থানার এস আই গোলাম ফাত্তাহ মুরশেদ চৌধুরী জানান, তিনজন ডাকাত স্বেচ্ছায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়ার এ ঘটনার
সত্যতা স্বীকাব করেন।এ ব্যাপারে ওসি মাহবুবুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আটককৃতদের দেয়া তথ্য মতে আরো একজনকে গ্রেফতার করে এবং লুটপাটকৃত মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুব দ্রুততম সময়ে লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার ও অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।