ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ছাতকে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষসহ জড়িত শিক্ষকদের অপসারণের দাবী শিক্ষার্থীদের

সুনামগঞ্জের ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের অপসারণে দাবীতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কলেজ শিক্ষার্থীদের দেওয়া কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৮ জানুয়ারী মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি। ৯ জানুয়ারী বিক্ষোভ মিছিল ও সর্বদলীয় ছাত্র ধর্মঘট এবং ১২ জানুয়ারী মানববন্ধন।

আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আলী আশরাফ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারী ক্লাস করার জন্য কলেজে প্রবেশ করে অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো: রেজা। শ্রেনি কক্ষে শিক্ষক না থাকায় শিক্ষককে আনার জন্য সে শিক্ষক অফিসের দিকে যাওয়ার সময় দেখা হয় কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের সাথে। এসময় অধ্যক্ষ ওই ছাত্রকে বলেন তোমার হাটাচলার ধরণ ভালা না। এ কথার জের ধরে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের ডেকে আনেন এবং তাকে বেধড়ক মারপিঠ করে আহত করেন। নির্যাতনের এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পর কলেজ গভর্ণিংবডি ও এলাকাবাসীকে তোয়াক্কা না করে পুলিশ ডেকে এনে নির্যাতিত কলেজ ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করেন অধ্যক্ষ। ছাত্রকে নির্যাতনের প্রতিবাদে ও তার মুক্তি এবং অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের অপসারণের দাবীতে গোবিন্দগঞ্জে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করে শিক্ষার্থীরা। পরে আটককৃত ওই ছাত্রকে থানা থেকে মুক্তি দেয়া হলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা সাময়িক প্রত্যাহার করে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম সিরাজুল ইসলাম ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মহান মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম লুৎফুর রহমান সরকুমকে নিয়ে স্মৃতিচারণ না করে চরম ভাবে অবমাননা করা হয়েছে। কলেজের এ অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষার্থীরা প্রবাস থেকে বড় অংকের টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করেছে। ৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক প্রায় ২ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন। ওই অধ্যক্ষ গোবিন্দগঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকে এলাকাবাসীকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কলেজের আয়-ব্যয় ও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসেব দেন নাই। কলেজ শিক্ষার্থী মো: রেজাকে নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়িত অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকসহ সকল শিক্ষকদের অপসারণের দাবী ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকসহ সংশ্লিষ্টদের সু-দৃষ্টি কামনা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কলেজের এইচ এসসি ফল প্রার্থী রবি হোসেন, বিএসএস’র প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমদাদুল হক ইমন ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুহেল আহমদসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

ছাতকে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষসহ জড়িত শিক্ষকদের অপসারণের দাবী শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় : ১০:০৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

সুনামগঞ্জের ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের অপসারণে দাবীতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কলেজ শিক্ষার্থীদের দেওয়া কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৮ জানুয়ারী মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি। ৯ জানুয়ারী বিক্ষোভ মিছিল ও সর্বদলীয় ছাত্র ধর্মঘট এবং ১২ জানুয়ারী মানববন্ধন।

আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, গোবিন্দগঞ্জ আবদুল হক স্মৃতি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আলী আশরাফ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারী ক্লাস করার জন্য কলেজে প্রবেশ করে অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো: রেজা। শ্রেনি কক্ষে শিক্ষক না থাকায় শিক্ষককে আনার জন্য সে শিক্ষক অফিসের দিকে যাওয়ার সময় দেখা হয় কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের সাথে। এসময় অধ্যক্ষ ওই ছাত্রকে বলেন তোমার হাটাচলার ধরণ ভালা না। এ কথার জের ধরে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের ডেকে আনেন এবং তাকে বেধড়ক মারপিঠ করে আহত করেন। নির্যাতনের এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পর কলেজ গভর্ণিংবডি ও এলাকাবাসীকে তোয়াক্কা না করে পুলিশ ডেকে এনে নির্যাতিত কলেজ ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করেন অধ্যক্ষ। ছাত্রকে নির্যাতনের প্রতিবাদে ও তার মুক্তি এবং অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের অপসারণের দাবীতে গোবিন্দগঞ্জে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করে শিক্ষার্থীরা। পরে আটককৃত ওই ছাত্রকে থানা থেকে মুক্তি দেয়া হলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা সাময়িক প্রত্যাহার করে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম সিরাজুল ইসলাম ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মহান মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম লুৎফুর রহমান সরকুমকে নিয়ে স্মৃতিচারণ না করে চরম ভাবে অবমাননা করা হয়েছে। কলেজের এ অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষার্থীরা প্রবাস থেকে বড় অংকের টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করেছে। ৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক প্রায় ২ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন। ওই অধ্যক্ষ গোবিন্দগঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকে এলাকাবাসীকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কলেজের আয়-ব্যয় ও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসেব দেন নাই। কলেজ শিক্ষার্থী মো: রেজাকে নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়িত অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকসহ সকল শিক্ষকদের অপসারণের দাবী ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকসহ সংশ্লিষ্টদের সু-দৃষ্টি কামনা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কলেজের এইচ এসসি ফল প্রার্থী রবি হোসেন, বিএসএস’র প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমদাদুল হক ইমন ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুহেল আহমদসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।