ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

জেএসএস-এর উভয় অংশকে আন্দোলনের ভুল পথ পরিহারের আহ্বান

ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব চাকমা শাসকগোষ্ঠীর পাতানো ফাঁদ থেকে বেরিয়ে এসে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শরীক হওয়ার জন্য জনসংহতি সমিতির উভয় অংশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল বান্দরবান সদর উপজেলার রাজভিলা ইউনিয়নের বাঘমারা বাজার এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় জেএসএস-এর একটি অংশের ৬ সদস্য নিহত ও অপর ৩ জন আহত হওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার ৮ জুলাই ২০২০ এক বিবৃতিতে তিনি এ গুরুত্বপূর্ণ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘জনসংহতি সমিতির উভয় অংশের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে বুঝতে হবে যে, শাসকগোষ্ঠী পাহাড়িদের মধ্যে সব সময় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাঁধিয়ে দিয়ে নিজেদের হীন কায়েমী স্বার্থ হাসিল করতে চায়। গত ২৩ বছর ধরে তারা এ অপকৌশল প্রয়োগ করে আসছে।

ইউপিডিএফ নেতা উভয় অংশের নেতৃত্বকে কথা ও কাজে মিল রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একদিকে ঐক্যের আহ্বান এবং অন্যদিকে উস্কানিমূলক আচরণ ও রক্তাক্ত হামলা তাদের রাজনৈতিক ও আদর্শিক দৈন্যতারই পরিচায়ক এবং তা ঐক্য ও জাতীয় স্বার্থের জন্য চরম হানিকর।

শাসকগোষ্ঠীর কোলে থেকে কখনোই জনগণের স্বার্থে আন্দোলন করা যায় না মন্তব্য করে সচিব চাকমা বলেন, ‘এ চরম সত্য সবচেয়ে বেশী বোঝার কথা জনসংহতি সমিতির উভয় অংশের নেতৃত্বের। কারণ চুক্তি-পূর্ব সময়ে যে আন্দোলন হয়েছে তা শাসকগোষ্ঠীর মন যুগিয়ে করা হয়নি।

ইউপিডিএফ-এর অবস্থান বরাবরই ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের বিপক্ষে ও বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের পক্ষে বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং জেএসএস-এর উভয় অংশকে আন্দোলনের ভ্রান্ত ও জাতির জন্য চরম অনিষ্টকর পথ পরিহার করে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

জেএসএস-এর উভয় অংশকে আন্দোলনের ভুল পথ পরিহারের আহ্বান

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০

ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব চাকমা শাসকগোষ্ঠীর পাতানো ফাঁদ থেকে বেরিয়ে এসে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শরীক হওয়ার জন্য জনসংহতি সমিতির উভয় অংশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল বান্দরবান সদর উপজেলার রাজভিলা ইউনিয়নের বাঘমারা বাজার এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় জেএসএস-এর একটি অংশের ৬ সদস্য নিহত ও অপর ৩ জন আহত হওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার ৮ জুলাই ২০২০ এক বিবৃতিতে তিনি এ গুরুত্বপূর্ণ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘জনসংহতি সমিতির উভয় অংশের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে বুঝতে হবে যে, শাসকগোষ্ঠী পাহাড়িদের মধ্যে সব সময় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাঁধিয়ে দিয়ে নিজেদের হীন কায়েমী স্বার্থ হাসিল করতে চায়। গত ২৩ বছর ধরে তারা এ অপকৌশল প্রয়োগ করে আসছে।

ইউপিডিএফ নেতা উভয় অংশের নেতৃত্বকে কথা ও কাজে মিল রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একদিকে ঐক্যের আহ্বান এবং অন্যদিকে উস্কানিমূলক আচরণ ও রক্তাক্ত হামলা তাদের রাজনৈতিক ও আদর্শিক দৈন্যতারই পরিচায়ক এবং তা ঐক্য ও জাতীয় স্বার্থের জন্য চরম হানিকর।

শাসকগোষ্ঠীর কোলে থেকে কখনোই জনগণের স্বার্থে আন্দোলন করা যায় না মন্তব্য করে সচিব চাকমা বলেন, ‘এ চরম সত্য সবচেয়ে বেশী বোঝার কথা জনসংহতি সমিতির উভয় অংশের নেতৃত্বের। কারণ চুক্তি-পূর্ব সময়ে যে আন্দোলন হয়েছে তা শাসকগোষ্ঠীর মন যুগিয়ে করা হয়নি।

ইউপিডিএফ-এর অবস্থান বরাবরই ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের বিপক্ষে ও বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের পক্ষে বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং জেএসএস-এর উভয় অংশকে আন্দোলনের ভ্রান্ত ও জাতির জন্য চরম অনিষ্টকর পথ পরিহার করে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।