ঝিনাইদহ জেলার প্রায় ৩০ হাজার কৃষক পানের আবাদ করে সংসার চালায়। এলাকার পানের সুনাম দেশ জুড়ে; হরিণাকুন্ডু, শৈলকুপা, মহেশপুর, ঝিনাইদহের পান এলাকায় ঝিনাইদহের এলাকার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা,চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল সহ বিদেশে রপ্তানি হতো। করোনার কারণে পরিবহণ ভাড়া বেড়ে যাওয়ার কারণে বাইরে থেকে পানের ব্যাপারী কম আসার কারণে এলাকার পান চাষীগণ হাট বাজারে পান আনলেও চাহিদা কমে যাওয়ায় পান পানির দরে বিক্রয় হচ্ছে।
ছোট পান ৫ টাকা মাঝারি পান ২০ টাকা, বড় পান প্রকার ভেদে ৫০/৬০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। বরজ তৈরির জন্য বাশঁ, পাটখড়ি, খৈলের মূল্য ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পান বরজ থেকে তুলতে ৫ টাকা খরচ হয়। পানের আবাদের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। পান কম মূল্যে বিক্রি হওয়ায় এলাকার পান চাষীগণ অবর্ণনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পান কম খরচে বিক্রয়ের জন্য পাঠাতে পারলে পান চাষীগণ উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন। এব্যাপারে কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগীতা কামনা করছেন চাষীগণ।