গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো উন্নতি হয়েছে। তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণ গতকালের চাইতে কমেছে।
ডা. জাফরুল্লাহর চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের বরাত দিয়ে জতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর সেলের প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই তথ্য জানিয়েছেন।
এখন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়মিত অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। শারীরিক অবস্থা গতকালের চাইতে আরো কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিনি নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস করছেন। বর্তমানে তাঁর অক্সিজেন প্রয়োজন হয় না। তবে গলার ব্যথার জন্য কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী একটু একটু কথা বলতে পারেন এবং ইশারায় আর লিখে তিনি কথার উত্তর দিচ্ছেন জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু আরো জানান, চিকিৎসকরা তাঁকে জরুরি প্রয়োজনে ব্যতিত কথা বলতে নিষেধ করেছেন। তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস ইনফেকশন নেই। নতুন যে ব্যাকটেরিয়া ছিল তারও ইনফেকশন কমছে। তাঁকে আরো বেশ কিছুদিন দিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী মানসিকভাবে অনেক উজ্জীবিত জানিয়েছে জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। করোনাভাইরাসের মহামারিতে অসহায় দেশবাসীর খোঁজ-খবর নেন। এই অবস্থার মধ্যেও সাম্প্রতিক বাজেট ও করোনাভাইরাসের মহামারি হতে উত্তরণে করণীয় নিয়ে লেখালেখি করেছেন। তিনি দেশবাসীর নিকট দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্যে দোয়া কামনা করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমানে তাঁর নিজের স্থাপিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফি এবং অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।