রাজশাহীর তানোর পৌর সদর শেখ রাসেল মিনি স্টাডিয়াম সংলগ্ন শীতলীপাড়ায় অবস্থিত গভীর নলকূপের তালা ভাংচুুুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যার সময় বিতর্কিত অপারেটর বকুলের নেতৃত্ব তালা ভাঙ্গার ঘটনাটি ঘটে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত হয়ে পড়েন কৃষকরা। কারন অল্পদিনের মধ্যে বোরো চাষের জন্য জমির চাষ শুরু হবে। এমন সময় বকুলের অনৈতিক কান্ডে চাষাবাদ নিয়ে চরম শংকিত বলে মনে করছেন ইউএনও কর্তৃক পরিচালনা করা সমিতির সদস্যরা। ফলে জরুরী ভাবে বকুলের কবল থেকে গভীর নলকূপের চাবি উদ্ধার করে চাষাবাদের সুযোগ করে দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার দিকে গভীর নলকূপটি দখল নিতে বকুলসহ কিছু বখাটেদের এনে তালা ভাঙ্গে। বিগত দু বছর ধরে গভীর নলকূপটি পরিচালনা করে আসছে সমিতির মাধ্যমে। এর আগে বকুলকে বিএমডিএ অপারেটর নিয়োগ দেয়। তিনি অপারেটর থাকা কালীন কৃষকদের সঠিক ভাবে সেচ পানি দিত না। যার কারনে স্কীমভুক্ত কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাহী অফিসার সমিতি করে দিয়ে পরিচালনার জন্য হিন্দুপাড়া গ্রামের কৃষক অধিরকে চাবি দেন। বিগত দূ বছরে কৃষকদের তিল পরিমান অভিযোগ নাই। অথচ বকুল কেই অপারেটর হিসেবে ভাতা দেয় বিএমডিএ। কিন্তু তাকে গভীর নলকূপ পরিচালনা করতে নিষেধ করা হয়। শান্তিপূর্ণ ভাবে পানির সেচ পেয়ে ফসল উৎপাদব হচ্ছে। আর এসময় বকুল শুধু চাষাবাদে বিগ্ম সৃষ্টি করতেই তালা ভেঙ্গেছে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
পরিচালনা করা কৃষকদের দাবি, সেচের জন্য গভীর নলকূপ। এটা কারো ব্যক্তিগত সম্পদ না। সরকারের সম্পদ কৃষকদের জন্য। বকুল সঠিক ভাবে সেচ না দেওয়ার কারনে, ইউএনও স্যার ও বিএমডিএ সমিতি করে দিয়েছে। দূ বছরে সেচ নিয়ে কোন কৃষকের অভিযোগ নেই। আর বকুল অফিসকে না জানিয়ে তালা ভাঙ্গছে এটা মেনে নেওয়া অসম্ভব। ইউএনও স্যারকে অবহিত করা হয়েছে। রোববার ছুটি সোমবারে স্কীমভুক্ত কৃষকদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যাওয়া হবে। কেন তালা ভাঙ্গা হলো এর সঠিক বিচার হতে হবে। আমরা ডিপ চায়না, সঠিক ভাবে সেচ চাই, চাষাবাদ চাই।
বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, ছুটিতে আছি, সোমবারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, ঘটনা সম্পর্কে সন্ধ্যার পরে অবহিত হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারী সম্পদ নষ্ট করার কারো অধিকার নেই।