ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

তানোরে তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা মেয়র মিজান

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পৌরবাসির জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রান। পরিবার পরিজন ছেড়ে পৌর ভবনেই থেকে সকল ধরনের সেবা দিয়ে ব্যাপক নজর কেড়েছেন তরুণ উদীয়মান রাজশাহীর তানোর পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান। ত্রানের চাউলের সাথে নানা ধরনের সবজি দেয়া ছিল তাঁর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এবং সকলের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য হয়েছেন প্রশংসার পাত্র।

শুধু করোনা সেবাই না অল্প সময়ের মধ্যে রাজনীতিতে আগমন ঘটে তাঁর, প্রয়াত নেতা এমরান মোল্লার হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ মিজানুর রহমান মিজানের।২০১১ সালের দিকে উপজেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে শুরু করেন রাজনীতি। অল্প বয়সেই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২০১৬ সালে তানোর পৌরসভার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।

নির্বাচিত হবার পর থেকে তাঁর উপর চলে মামলার খড়গ। একের পর এক মামলা দিয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে তাকে সরিয়ে দিতে ক্ষমতাসীনরা নানা ধরনের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন। এমনকি তাকে দীর্ঘ সময় এলাকার বাহিরে থাকতে হয়েছে। তারপরও হতে হয়েছে মামলার আসামী। জেলেও যেতে হয়েছে একাধিকবার। অবাক করার বিষয় মেয়র নির্বাচিত হয়ে শপথের দিনও তাকে জেলে যেতে হয়েছে। অবশ্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে শপথ নেন তানোর পৌর সদর এলাকার তারন্যের অহংকার মিজানুর রহমান মিজান।

তবে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় রাতদিন পৌরবাসির সেবা দিয়ে এক অনান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি। বাড়িঘর পরিবার ছেলে মেয়ে ছেড়ে পৌরসভায় দিনরাত থেকে নানা ভাবে সেবা দিয়ে এক অন্য রকম দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। বিশেষ করে রমজান মাসে কোরআন শিক্ষা পৌর মসজিদের নামাজের ইমামতি করা সবাইকে নামাজ পড়ার ব্যাপারে অনুররোধ করা। ত্রানের সাথে নানা ধরনের সবজি দিয়ে ব্যাপক নজর কেড়েছেন কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ২০১১ সালের দিকে উপজেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে পুরো উপজেলায় যুবদলের প্রতিটি ইউনিটের দলীয় নিয়ম অনুযায়ী কমিটি গঠন করে চাঙ্গা করেন যুবদলকে।

তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ও সাহসিকতার জন্য ২০১৬ সালে তানোর পৌর নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিক দেয়া হয়। অবশ্য ওই নির্বাচনে ব্যাপক ভুমিকা রাখেন প্রয়াত উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমরান আলী মোল্লা। সবাইকে চমক লাগিয়ে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন মিজানুর রহমান মিজান। এর পরে তাঁর মামা উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রয়াত এমরান আলী মোল্লা মারা গেলে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন মিজান। দলের নতুন কমিটি হয় তাকে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।

এদিকে পৌর মেয়র নির্বাচিত হবার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়া হয়, যাতে তিনি রাজনীতির মাঠে থাকতে না পারেন। কিন্তু মেয়র মিজান সব কিছু অপেক্ষা করে বিভিন্ন কায়দায় দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন।নির্বাচিত হবার নির্যাতনের খড়গ নেমে এলেও দলের কর্মসূচী থেকে তিল পরিমাণ পিছুপা হননি।

যার ফলে উপজেলা বিএনপির ভরসা বলতেই মেয়র মিজান। বিগত কয়েকমাস ধরে কেন্দ্রের নির্দেশে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কমিটি গঠন করেছেন। তালন্দ এলাকার বাসিন্দা বাসারত জানান বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা যারা অতীতে ক্ষমতায় থাকা কালীন ব্যাপক সুযোগ সুবিধা নিয়ে সম্পদশালী হয়েছেন তাঁরা মামলার ভয়ে দলের কোন কিছুতেই আসতে চাইনা। কিন্তু মেয়র মিজানের বিরুদ্ধে এত মামলা থাকার পরও তিনি দলীয় কার্যক্রম নিষ্ঠার সাথে পরিচালনা করেছেন। আমরা দলের শীর্ষ নেতা শীষ মোহাম্মাদ, এমরান আলী মোল্লা এবং শেষে আমাদের অভিভাবক সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল মারা যাবার পর খুব চিন্তায় ছিলাম দলের হাল ধরবে কে এমন ভাবনায় হাজার হাজার নেতা চরম শঙ্কায় ছিলেন।

কিন্তু সেটা অনেকটাই দূর করে দিয়েছেন মেয়র মিজান। তাঁর বিরুদ্ধে এত মামলা থাকার পরও নেতাকর্মীদের সব সময় সাহস দিয়েছেন। গুবিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইয়াহিয়া জানান আমি অবাক হয়েছি করোনার মধ্যে পরিবার পরিজন ত্যাগ করে রাতদিন পৌর বাসীর সেবা দিয়ে গেছেন। শুধু পৌরবাসির না উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন যার যতটুকু সম্ভব সে অনুযায়ী দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ান। তিনি সারা রাত এসব কাজ করে সেহরি খেয়ে ঘুমাতেন। তাঁর মত তরুণ মেয়র পেয়ে আমরা গর্বিত। কারন অনেক জনপ্রতিনিধি করোনার লকডাউনের সময় ঘর থেকে বের হননি, আর মেয়র মিজান আল্লাহর উপর ভরসা করে সব ধরনের সেবা দিয়ে গেছেন।

ধানতৈড় গ্রামের রফিক, আমশোগ্রামের বাসিন্দা মাহবুর, কালীগঞ্জ এলাকার কুরবানসহ একাধিক পৌরবাসিরা জানান মেয়র মিজান উপজেলা বিএনপির যেমন কর্ণধর তেমনি তিনি একজন যোগ্য জনপ্রতিনিধি। তিনি আছেন বলেই বিএনপির নানা কর্মসূচী পালিত হয়। তাঁর সাহসিক নেতৃতের জন্যই যে কোন সময়ের চেয়ে বিএনপি অনেক শক্তিশালী। তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব কল্পনাতীত। তিনি ছাড়া বিএনপির কথা ভাবাই যায়না। যার কারনে কেন্দ্র জেলার নেতারাও তাঁর উপর আস্থাশীল ।তিনি ক্ষমতাসীনদের দ্বারা নির্যাতিত ও এত মামলার আসামী হওয়া স্বত্বেও মিজান কখনো ভীত হননি বরং নেতাকর্মীদের সাহস যুগিয়েছেন। এজন্য সিনিয়র জুনিয়র থেকে শুরু করে সকলেই তাঁর উপরই ভরসা করেন ।

গত ঈদুল ফিতরে মেয়র মিজান তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দেন এই লিখে যে একমাস সিয়াম সাধনার এসেছে ঈদ। সেই পোষ্টে ১ হাজার লাইক এবং ৫শোর মত কমেন্ট পড়ে । এতেই বোঝা যায় তিনি কত জনপ্রিয়।

মেয়র মিজানুর রহমান মিজান জানান বিগত চার বছর পৌরবাসির তেমন সেবা করতে পারিনি। কারন ওই সময় একাধিক মামলার কারনে জেল ও আদালতেই পড়ে থাকতে হত। চার বছর ধরে দরিদ্রদের জন্য মাসিক চাল পর্যন্ত দিতে পারিনি। করোনার সময় পরিবার পরিজন ছেড়ে পুরো লকডাউনের সময় পর্যন্ত পৌর ভবনে থেকে দিনরাত পৌরবাসির সেবা করেছে। কোন ধরনের দলীয় মনোভাব দেখায়নি। চেষ্টা করেছে নিরেপক্ষ ভাবে সেবাদানে। এর মধ্যেও হয়তো অনেকের আশা পুরুন করতে পারিনি, অজান্তে ভুল হতে পারে।

কারন আমার রাজনীতিতে আশা অল্প সময়ের মধ্যে। আমি বয়সে অনেক ছোট। কিন্তু মহান আল্লাহ দায়িত্ব দিয়েছেন অনেক বড়। মানুষ মানেই ভুল হওয়া অসম্ভবের কিছু না। দলীয় ভাবেও যে দায়িত্ব এসেছে পালন করেছি। সবাইকে নিয়ে নতুন এক বিএনপি গঠনের ইচ্ছে আছে। নবীন প্রবীণ মিলে এক আধুনিক বিএনপি যাতে গঠন করতে পারি এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করি।নিরাপদে থাকুন স্বাস্থ্যবিধি সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখুন। মহান আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, জীবন আপনার নিরাপদে রাখার দায়িত্বও আপনার।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

রাহুল গান্ধীকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা

তানোরে তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা মেয়র মিজান

আপডেট সময় : ০৫:০৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুন ২০২০

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পৌরবাসির জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রান। পরিবার পরিজন ছেড়ে পৌর ভবনেই থেকে সকল ধরনের সেবা দিয়ে ব্যাপক নজর কেড়েছেন তরুণ উদীয়মান রাজশাহীর তানোর পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান। ত্রানের চাউলের সাথে নানা ধরনের সবজি দেয়া ছিল তাঁর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এবং সকলের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য হয়েছেন প্রশংসার পাত্র।

শুধু করোনা সেবাই না অল্প সময়ের মধ্যে রাজনীতিতে আগমন ঘটে তাঁর, প্রয়াত নেতা এমরান মোল্লার হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ মিজানুর রহমান মিজানের।২০১১ সালের দিকে উপজেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে শুরু করেন রাজনীতি। অল্প বয়সেই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২০১৬ সালে তানোর পৌরসভার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।

নির্বাচিত হবার পর থেকে তাঁর উপর চলে মামলার খড়গ। একের পর এক মামলা দিয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে তাকে সরিয়ে দিতে ক্ষমতাসীনরা নানা ধরনের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন। এমনকি তাকে দীর্ঘ সময় এলাকার বাহিরে থাকতে হয়েছে। তারপরও হতে হয়েছে মামলার আসামী। জেলেও যেতে হয়েছে একাধিকবার। অবাক করার বিষয় মেয়র নির্বাচিত হয়ে শপথের দিনও তাকে জেলে যেতে হয়েছে। অবশ্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে শপথ নেন তানোর পৌর সদর এলাকার তারন্যের অহংকার মিজানুর রহমান মিজান।

তবে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় রাতদিন পৌরবাসির সেবা দিয়ে এক অনান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি। বাড়িঘর পরিবার ছেলে মেয়ে ছেড়ে পৌরসভায় দিনরাত থেকে নানা ভাবে সেবা দিয়ে এক অন্য রকম দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। বিশেষ করে রমজান মাসে কোরআন শিক্ষা পৌর মসজিদের নামাজের ইমামতি করা সবাইকে নামাজ পড়ার ব্যাপারে অনুররোধ করা। ত্রানের সাথে নানা ধরনের সবজি দিয়ে ব্যাপক নজর কেড়েছেন কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ২০১১ সালের দিকে উপজেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে পুরো উপজেলায় যুবদলের প্রতিটি ইউনিটের দলীয় নিয়ম অনুযায়ী কমিটি গঠন করে চাঙ্গা করেন যুবদলকে।

তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ও সাহসিকতার জন্য ২০১৬ সালে তানোর পৌর নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিক দেয়া হয়। অবশ্য ওই নির্বাচনে ব্যাপক ভুমিকা রাখেন প্রয়াত উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমরান আলী মোল্লা। সবাইকে চমক লাগিয়ে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন মিজানুর রহমান মিজান। এর পরে তাঁর মামা উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রয়াত এমরান আলী মোল্লা মারা গেলে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন মিজান। দলের নতুন কমিটি হয় তাকে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।

এদিকে পৌর মেয়র নির্বাচিত হবার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়া হয়, যাতে তিনি রাজনীতির মাঠে থাকতে না পারেন। কিন্তু মেয়র মিজান সব কিছু অপেক্ষা করে বিভিন্ন কায়দায় দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন।নির্বাচিত হবার নির্যাতনের খড়গ নেমে এলেও দলের কর্মসূচী থেকে তিল পরিমাণ পিছুপা হননি।

যার ফলে উপজেলা বিএনপির ভরসা বলতেই মেয়র মিজান। বিগত কয়েকমাস ধরে কেন্দ্রের নির্দেশে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কমিটি গঠন করেছেন। তালন্দ এলাকার বাসিন্দা বাসারত জানান বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা যারা অতীতে ক্ষমতায় থাকা কালীন ব্যাপক সুযোগ সুবিধা নিয়ে সম্পদশালী হয়েছেন তাঁরা মামলার ভয়ে দলের কোন কিছুতেই আসতে চাইনা। কিন্তু মেয়র মিজানের বিরুদ্ধে এত মামলা থাকার পরও তিনি দলীয় কার্যক্রম নিষ্ঠার সাথে পরিচালনা করেছেন। আমরা দলের শীর্ষ নেতা শীষ মোহাম্মাদ, এমরান আলী মোল্লা এবং শেষে আমাদের অভিভাবক সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল মারা যাবার পর খুব চিন্তায় ছিলাম দলের হাল ধরবে কে এমন ভাবনায় হাজার হাজার নেতা চরম শঙ্কায় ছিলেন।

কিন্তু সেটা অনেকটাই দূর করে দিয়েছেন মেয়র মিজান। তাঁর বিরুদ্ধে এত মামলা থাকার পরও নেতাকর্মীদের সব সময় সাহস দিয়েছেন। গুবিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইয়াহিয়া জানান আমি অবাক হয়েছি করোনার মধ্যে পরিবার পরিজন ত্যাগ করে রাতদিন পৌর বাসীর সেবা দিয়ে গেছেন। শুধু পৌরবাসির না উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন যার যতটুকু সম্ভব সে অনুযায়ী দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ান। তিনি সারা রাত এসব কাজ করে সেহরি খেয়ে ঘুমাতেন। তাঁর মত তরুণ মেয়র পেয়ে আমরা গর্বিত। কারন অনেক জনপ্রতিনিধি করোনার লকডাউনের সময় ঘর থেকে বের হননি, আর মেয়র মিজান আল্লাহর উপর ভরসা করে সব ধরনের সেবা দিয়ে গেছেন।

ধানতৈড় গ্রামের রফিক, আমশোগ্রামের বাসিন্দা মাহবুর, কালীগঞ্জ এলাকার কুরবানসহ একাধিক পৌরবাসিরা জানান মেয়র মিজান উপজেলা বিএনপির যেমন কর্ণধর তেমনি তিনি একজন যোগ্য জনপ্রতিনিধি। তিনি আছেন বলেই বিএনপির নানা কর্মসূচী পালিত হয়। তাঁর সাহসিক নেতৃতের জন্যই যে কোন সময়ের চেয়ে বিএনপি অনেক শক্তিশালী। তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব কল্পনাতীত। তিনি ছাড়া বিএনপির কথা ভাবাই যায়না। যার কারনে কেন্দ্র জেলার নেতারাও তাঁর উপর আস্থাশীল ।তিনি ক্ষমতাসীনদের দ্বারা নির্যাতিত ও এত মামলার আসামী হওয়া স্বত্বেও মিজান কখনো ভীত হননি বরং নেতাকর্মীদের সাহস যুগিয়েছেন। এজন্য সিনিয়র জুনিয়র থেকে শুরু করে সকলেই তাঁর উপরই ভরসা করেন ।

গত ঈদুল ফিতরে মেয়র মিজান তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দেন এই লিখে যে একমাস সিয়াম সাধনার এসেছে ঈদ। সেই পোষ্টে ১ হাজার লাইক এবং ৫শোর মত কমেন্ট পড়ে । এতেই বোঝা যায় তিনি কত জনপ্রিয়।

মেয়র মিজানুর রহমান মিজান জানান বিগত চার বছর পৌরবাসির তেমন সেবা করতে পারিনি। কারন ওই সময় একাধিক মামলার কারনে জেল ও আদালতেই পড়ে থাকতে হত। চার বছর ধরে দরিদ্রদের জন্য মাসিক চাল পর্যন্ত দিতে পারিনি। করোনার সময় পরিবার পরিজন ছেড়ে পুরো লকডাউনের সময় পর্যন্ত পৌর ভবনে থেকে দিনরাত পৌরবাসির সেবা করেছে। কোন ধরনের দলীয় মনোভাব দেখায়নি। চেষ্টা করেছে নিরেপক্ষ ভাবে সেবাদানে। এর মধ্যেও হয়তো অনেকের আশা পুরুন করতে পারিনি, অজান্তে ভুল হতে পারে।

কারন আমার রাজনীতিতে আশা অল্প সময়ের মধ্যে। আমি বয়সে অনেক ছোট। কিন্তু মহান আল্লাহ দায়িত্ব দিয়েছেন অনেক বড়। মানুষ মানেই ভুল হওয়া অসম্ভবের কিছু না। দলীয় ভাবেও যে দায়িত্ব এসেছে পালন করেছি। সবাইকে নিয়ে নতুন এক বিএনপি গঠনের ইচ্ছে আছে। নবীন প্রবীণ মিলে এক আধুনিক বিএনপি যাতে গঠন করতে পারি এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করি।নিরাপদে থাকুন স্বাস্থ্যবিধি সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখুন। মহান আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, জীবন আপনার নিরাপদে রাখার দায়িত্বও আপনার।