ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

তানোরে বাল্য বিয়ে তালাক নিয়ে তুমুল কাণ্ড

রাজশাহীর তানোর পৌর সদর এলাকা ডাংকবালো মাঠের পূর্ব দিকে শীতলিপাড়া নামক গ্রামে এক বছর আগে বাল্য বিয়ে দেয়া হয়, আবার সেই বাল্য বিয়ে বছর না যেতেই তালাকও দেয়ার ঘটনায় তুমুল কাণ্ড সৃষ্টি হয়েছে সদর জুড়েই। গত মঙ্গলবার রাত প্রায় দশটার দিকে তালাকের কার্যক্রম করেন পৌর এলাকার কাজি সালাউদ্দিনের সহকারী মুসলেম উদ্দিন।

এমন ঘটনায় পৌর সদর জুড়েই বইছে সমালোচনা এবং কাজি ও তাঁর সহকারীর এসব কর্মকাণ্ডের জন্য আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি তুলেছেন এবং কাজির বাড়ি তল্লাশিরও দাবি উঠেছে। কারন পৌর সদরে ব্যাপক হারে বাল্য বিয়ে এবং তালাকের যত ঘটনা ঘটেছে সব ঘটনার সাথেই কাজি সালাউদ্দিন ও তাঁর সহকারী মুসলেম কোন না কোন ভাবে জড়িত আছেই বলে একাধিক সুত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে । আবার তাঁর কাছে নাকি দুই রকমের রেজিস্টার খাতা ও ভুয়া নিবন্ধনও থাকে এমন অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, গত প্রায় এক বছর আগে তানোর পৌর সদর এলাকার শিতলীপাড়া গ্রামের মুকছেদ আলীর প্রায় ১৬ বছরের পুত্র রাসেলের সাথে একই পাড়ার জৈনক ব্যাক্তির ১২ বছরের মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের দেন মোহর ধার্য করা হয় ৮০ হাজার। কিন্তু বিয়ের বছর না যেতেই চলতি মাসের ৭ জুলাই মঙ্গলবার রাত্রি প্রায় দশটার দিকে মাত্র ৮ হাজার টাকায় তালাক হয়। তালাকের যাবতীয় কার্যক্রম করেন কাজি সালাউদ্দিনের সহকারী গোল্লাপাড়া বাজারে বই ব্যবসায়ী চাপড়া গ্রামের মুসলেম উদ্দিন।

তবে এসব বিষয়ে আলোচিত কাজি সালাউদ্দিনের ব্যাক্তিগত মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বাল্য বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়নি, কালেমা পড়ে বিয়ে হয়েছে এক্ষেত্রে তালাকের কার্যক্রম করা যায়। আপনি তালাক না দিয়ে মুসলেম উদ্দিন কিভাবে তালাকের কার্যক্রম করেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমার সহকারী হিসেবে এসব কাজ করতে পারেন। রেজিস্ট্রি ছাড়া কিভাবে বিয়ে হয় ও তালাক হয় এবং আপনার কাছে দুই রকমের রেজিট্রার আছে এমন প্রশ্ন করা হলে রেজিস্ট্রারের খাতার কথা অস্বীকার করে তালাক দিতে পারবেন বলেও দম্ভক্তি প্রকাশ করেন। তবে তালাক দেয়া মুসলেম উদ্দিনের মোবাইলে ফোন দেয়া হলে রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে তানোর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার, গোদাগাড়ী উপজেলার ইউএনও মোঃ আলমগীর হোসেনের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ না করায় এসংক্রান্ত তাঁর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

রাহুল গান্ধীকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা

তানোরে বাল্য বিয়ে তালাক নিয়ে তুমুল কাণ্ড

আপডেট সময় : ১২:৫৮:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০

রাজশাহীর তানোর পৌর সদর এলাকা ডাংকবালো মাঠের পূর্ব দিকে শীতলিপাড়া নামক গ্রামে এক বছর আগে বাল্য বিয়ে দেয়া হয়, আবার সেই বাল্য বিয়ে বছর না যেতেই তালাকও দেয়ার ঘটনায় তুমুল কাণ্ড সৃষ্টি হয়েছে সদর জুড়েই। গত মঙ্গলবার রাত প্রায় দশটার দিকে তালাকের কার্যক্রম করেন পৌর এলাকার কাজি সালাউদ্দিনের সহকারী মুসলেম উদ্দিন।

এমন ঘটনায় পৌর সদর জুড়েই বইছে সমালোচনা এবং কাজি ও তাঁর সহকারীর এসব কর্মকাণ্ডের জন্য আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি তুলেছেন এবং কাজির বাড়ি তল্লাশিরও দাবি উঠেছে। কারন পৌর সদরে ব্যাপক হারে বাল্য বিয়ে এবং তালাকের যত ঘটনা ঘটেছে সব ঘটনার সাথেই কাজি সালাউদ্দিন ও তাঁর সহকারী মুসলেম কোন না কোন ভাবে জড়িত আছেই বলে একাধিক সুত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে । আবার তাঁর কাছে নাকি দুই রকমের রেজিস্টার খাতা ও ভুয়া নিবন্ধনও থাকে এমন অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, গত প্রায় এক বছর আগে তানোর পৌর সদর এলাকার শিতলীপাড়া গ্রামের মুকছেদ আলীর প্রায় ১৬ বছরের পুত্র রাসেলের সাথে একই পাড়ার জৈনক ব্যাক্তির ১২ বছরের মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের দেন মোহর ধার্য করা হয় ৮০ হাজার। কিন্তু বিয়ের বছর না যেতেই চলতি মাসের ৭ জুলাই মঙ্গলবার রাত্রি প্রায় দশটার দিকে মাত্র ৮ হাজার টাকায় তালাক হয়। তালাকের যাবতীয় কার্যক্রম করেন কাজি সালাউদ্দিনের সহকারী গোল্লাপাড়া বাজারে বই ব্যবসায়ী চাপড়া গ্রামের মুসলেম উদ্দিন।

তবে এসব বিষয়ে আলোচিত কাজি সালাউদ্দিনের ব্যাক্তিগত মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বাল্য বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়নি, কালেমা পড়ে বিয়ে হয়েছে এক্ষেত্রে তালাকের কার্যক্রম করা যায়। আপনি তালাক না দিয়ে মুসলেম উদ্দিন কিভাবে তালাকের কার্যক্রম করেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমার সহকারী হিসেবে এসব কাজ করতে পারেন। রেজিস্ট্রি ছাড়া কিভাবে বিয়ে হয় ও তালাক হয় এবং আপনার কাছে দুই রকমের রেজিট্রার আছে এমন প্রশ্ন করা হলে রেজিস্ট্রারের খাতার কথা অস্বীকার করে তালাক দিতে পারবেন বলেও দম্ভক্তি প্রকাশ করেন। তবে তালাক দেয়া মুসলেম উদ্দিনের মোবাইলে ফোন দেয়া হলে রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে তানোর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার, গোদাগাড়ী উপজেলার ইউএনও মোঃ আলমগীর হোসেনের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ না করায় এসংক্রান্ত তাঁর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।