রাজশাহীর তানোরে সামাজিক দুরুত্ব, স্বাস্থ্যবিধির কোন ধরনের তোয়াক্কা না করে বয়স্ক ভাতার টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার উপজেলার সমাজ সেবা অফিসের সামনে এই টাকা বিতরণ করা হয়। এতে করে করোনা সংক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন টাকা নিতে আসা ব্যাক্তিরা। আবার সকালে আসলেও বেলা প্রায় ১২ টার দিক থেকে টাকা বিতরণ শুরু হয়। যার ফলে অনেক বয়স্ক ব্যাক্তিরা দাড়িয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলায় আকবর ও হামিদের দোকানে বয়স্ক মহিলা পুরুষরা কলা পাউরুটি নিতে আসেন। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় কথাই থেকে এসেছেন কেন এসেছেন, তাঁরা জানান উপজেলার শেষ প্রান্ত কলমা ইউপির বিল্লি এলাকা থেকে বয়স্ক ভাতার টাকা নিতে এসেছে। সকালে আসলেও এখনো টাকা দেয়া শুরু হয়নি। যে অফিসার টাকা দিবে সে নাকি আসেনি, সে আসার পর টাকা বিতরণ করবেন। সকালেই টাকা পাব বলে দ্রুত আসি , কিন্তু দুপুর হয়ে যাবার কারনে খুদা মিটাতে কলা পাউরুটি কিনে খাচ্ছি । যাতে করে কিছুটা খুদা নিবারণ হয়। অফিসের সামনে গিয়ে দেখা যায় শতশত বয়স্ক মহিলা পুরুষ ছাতা নিয়ে আবার কেউ নিজের লাঠি ধরে পাকা অয়ালের সাথে দাড়িয়ে ছিলেন, আবার অনেকে ছোট বাচ্চা নিয়ে এসে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের বারাদ্দায় শুয়ে ছিলেন।
নাম প্রকাশ না করে একাধিক ব্যাক্তিরা জানান সারাদিন গুড়িগুড়ি ও ভারি বর্ষণ হচ্ছে। অনেক টাকা ভাড়া দিয়ে অটোরিক্সা রিজাব করে নিয়ে আসা হয়েছে। বাড়িতে যেতে সন্ধ্যা লাগবে। তাদের দাবি কর্মকর্তারা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে টাকা বিতরণ করলে এত হয়রানি হতে হত না।
উপজেলা স্মাজ সেবা অফিসার মাতিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে এসব বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে, অফিসের সামনে বিশাল আকারের বট গাছ আছে সেখানেই সবাই গাদাগাদি করে আশ্রয় নিয়েছেন। নিষেধ করার পরও মানছেন না। সকাল থেকে টাকা বিতরণ না করে বেলা প্রায় সাড়ে ১১ টা ১২ টার দিকে বিতরণ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান সকাল থেকেই প্রচুর বৃষ্টি এজন্য দেরি হয়েছে, কতজন ব্যাক্তিকে টাকা দেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান কলমা ইউনিয়ন পরিষদের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের ৪০০ মত ব্যাক্তির মাঝে বয়স্ক ভাতার টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্তও বিতরণ করা হচ্ছিল টাকা।