রাজশাহীর তানোরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ১৭ জন ব্যাক্তি আক্রান্ত হয়েছিলেন এর মধ্যে ১২ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রোজিয়ারা খাতুন। এর মধ্যে মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্য কাজে ফিরেছেন বলেও জানান থানার ওসি রাকিবুল হাসান।এতে করে উপজেলাবাসির মধ্যে যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল , রোগী সুস্থতার ফলে সবার মাঝে এক প্রকার স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জানা গেছে উপজেলায় প্রথমে ২৮ এপ্রিল বাধাইড় ইউপি এলাকার হাপানিয়া দোগাছি গ্রামের এক ব্যাক্তি। তিনি ব্রাক্ষনবাড়িয়ার আখাউড়া এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর শরীরে প্রথমে করোনা শনাক্ত হয়। এর পর থেকে পর্যায়ক্রমে থানা পুলিশের এক সদস্য ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী, মেডিকেলের ওয়ার্ড বয়সহ ঢাকা ও টেকনাফ ফেরত এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ১৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ( আইইডিসিআ) ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সর্বশেষ গত ১৫ জুন সোমবার দুইজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তাদের বাড়ি উপজেলার কলমা ইউপি এলাকার পিঁপড়া কালনাগ্রামে। এদের মধ্যে পেশায় একজন সবজি ব্যবসায়ী ও অপর জন ঢাকা ফেরত ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রোজিয়ারা খাতুন জানান এপর্যন্ত উপজেলায় ১৭ জন ব্যাক্তির দেহে করোনাভাইরাস হয়েছে।
এর মধ্যে দুজনসহ ১২ জন সুস্থ হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। তিনি আরও জানান আক্রান্ত অধিকাংশই নিজ আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। আসা করি অন্যরাও সুস্থ হয়ে উঠবেন।