রাজশাহীর তানোরে এলজিইডি অফিস থেকে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানতের ফাইল এবং করোনাভাইরাস মোকাবেলার সামগ্রী সাবান ও হ্যান্ডস্যানেটাইজার উধাও হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানতের ফাইল ও গত রোববার করোনা ভাইরাস মোকাবেলার জন্য বিতরণকৃত ১৫০টি সাবান এবং ১৫০টি হ্যান্ডস্যানেটাইজার গায়েব হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ফলে এলজিইডি অফিস থেকে এসব উধাও হবার ঘটনা গত সোমবার এক স্থানীয় ঠিকাদার ফাঁস করে দিলে অফিস পাড়ায় তোলপাড় শুরু হয়। এসব ফাঁস হবার ঘটনায় কর্মকর্তাদেরও বিমর্ষ অবস্থা দেখা যায়।
স্থানীয় ঠিকাদার ইয়াসিন গত ১৩ জুলাই সোমবার এলজিইডি অফিসের হিসেব কক্ষে এসে জানান, গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের কাজ শেষ হবার পরও জামানতের ফাইল হারিয়ে ফেলেন অফিসের কর্তাবাবুরা। দিনের পর দিন ধরনা দিয়েও লাভ হচ্ছেনা।তিনি আরো জানান চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গায়েব হওয়া ফাইলের জমানত প্রায় ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা।
জামানত গায়েব হওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজশাহী মহানগরীর খান এন্টার প্রাইজ যার জামানতের পরিমাণ ৪২ হাজার ৭০০ টাকা, পবা উপজেলার শাহিন এন্ড সন্সের ৩৪ হাজার ও নাটোর জেলার মিজানুর রহমান নামের ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং তানোর পৌর সদরের ন্যাশনাল সোস্টরের ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা।
হিসেব কক্ষে যখন এসব তথ্য দিচ্ছিলেন ইয়াসিন তখন সেখানে এলপিআরে থাকা সাবেক হিসাব রক্ষক আজগর আলী ছিলেন। স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীদের এসব বলছিলেন টেবিলে ফাইল রেখে আজগর বিমর্ষ অবস্থায় কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।
পরে উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের এসি রুমে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে দম্ভক্তি করেই বলেন আমিও অফিস থেকে হারিয়ে গেছে বলে লেখালেখি কর। আমার মানসিক অবস্থা ভালো নেই বলে দায় সারেন এই কর্মকর্তা।