বাগেরহাটের শরনখোলা তাফালবাড়ি স্কুল এন্ড কলেজে ৪র্থ শ্রেনি কর্মচারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ওই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মোটা অংকের অর্থ লেনদেন হতে পারে এমন অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মোঃ ওবায়দুল হক। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেণ, গেল ১৭ ফেব্রুয়ারী পত্রিকায় চতুর্থ শ্রেণির একটি শুণ্য পদে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহবান করা হয়।
যার প্রেক্ষিতে চলতি মাসের ২২ তারিখ নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রমান করে এই নিয়োগে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা বিশ^স্ত সূত্রে জানতে পেরেছি বর্তমানে কমরত ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারি মোঃ আলী হোসেনের পুত্র মোঃ রহিম হাওলাদারকে এই পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য থেকে মোটা অংকের টাকার লেনদেন চলছে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায় সহ গভর্নিং বডির সদস্যরা এই লেনদেনের সাথে জড়িত রয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।
অভিযোগকারী মোঃ ওবায়দুল হক বলেন, আমার সামনে কোন দূর্নীতি হতে পারবে না। তাই আমি যশোর শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ দিয়েছি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমি অভিযোগের কপি দিয়েছি। আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায় বলেন যেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি সেখানে দূর্নীতির প্রশ্নই আসে না।আর ২২ তারিখে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ করার জন্য আমরা ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি। যাতে কোন প্রকার অনিয়ম না হতে পারে এই জন্য আমরা স্থানীয় সাংবাদিক, উপজেলা প্রশাসন, জন প্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থি থাকার জন্য অনুরোধ করেছি।সর্বপরি এই নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন খোকন বলেন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির একজন সদস্য একটি অভিযোগ দিয়েছেন।আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। এখন পর্যন্ত এই নিয়োগে কোন প্রকার অনিয়ম খুজে পাওয়া যায়নি।এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার কথা বলেন তিনি।