ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আক্কেলপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন পবিত্র রমজান সকল মুসলমানের জন্য নেয়ামত হিসেবে আল্লহ ফরজ করেছেন – সাইফুজ্জামান শিখর এমপি প্রেমিকের সাথে বিয়ে না দেওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা সুন্দরগজ্ঞে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উৎযাপন সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে উধাও তোলপাড় তানোর রাণীশংকৈলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী জিয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর: তথ্যমন্ত্রী দৌলতপুরে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত রাণীশংকৈলে জোরপূর্বক জমি দখল ও ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে আদিবাসিদের বিরুদ্ধে

তালতলী পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল কার্যক্রমের দাবীতে অর্ধ লক্ষ মানুষের মানববন্ধন

বরগুনার তালতলী উপজেলা পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রমের দাবিতে একযোগে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানে অন্তত অর্ধ লাখ মানুষ মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচী পালন করেছে। সোমবার বেলা ১১ টায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ বৃষ্টি উপক্ষো করে এ মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষরে অংশগ্রহন করেছেন।

জানাগেছে, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে বিজয়ী হন। ওই সময়ে তিনি তালতলীকে উপজেলা ঘোষনা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রতি দেন। ২০০৩ সালে তালতলীতে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন করা হয়। ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তালতলী থানাকে উপজেলায় রুপান্তিত করেন। তালতলী উপজেলায় রুপান্তিত হলেও ১৭ বছরে পুর্নাঙ্গ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রুপ নেয়নি।

হাসপাতালের ছয়জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়নি। সমুদয় পদ খালী রয়েছে। প্রেষণে নিয়োগ দেয়া পাঁচ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। হাসপাতলাটি ২০ শয্যার হলেও এখন পর্যন্ত কোন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। এছাড়া ওই হাসপাতালের নামে অর্থনৈতিক কোড নেই। কোড না থাকায় হাসপাতালের নামে কোন বরাদ্দ পাচ্ছে না। বরাদ্দ না পাওয়ায় যন্ত্রাংশ কেনা যাচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। প্রেষণে নিয়োগ দেয়া চিকিৎসকরাও ঠিকমত হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এছাড়া এখনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নামে ঔষুধ বরাদ্দ নেই।

তালতলী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বরাদ্দকৃত ঔষুধ দিয়ে চলছে ২০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম। এ হাসপাতালে চিকিৎসক, চিকিৎসা যন্ত্রাংশ, ওষুধ সামগ্রী, অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় ইনডোর ও আউটডোর বন্ধ রয়েছে। এতে উপজেলার দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত কোন রোগীকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না।

দীর্ঘ ১৭ বছরে পুর্নাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রম চালু না হওয়ায় ফুসে উঠেছে তালতলীর সর্বস্থরের মানুষ। তাই পূর্নাঙ্গ হাসপাতালের দাবিতে গত এক মাস ধরে উপজেলার মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ভার্চুয়াল মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর অভিযান ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে সোমাবার বেলা ১১ টায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের তালতলী সদর,পচাঁকোড়ালিয়া, ছোটবগী, কচুপাত্রা, লাউপাড়া, কড়াইবাড়িয়া, ফকিরহাট, বারঘর, শানুর বাজারও নিদ্রাসকিনা বাজারসহ ১০টি জনগুরুত্বপুর্ণ স্থানে অন্তত অর্ধ লক্ষ মানুষ মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচী পালন করেছে। মানববন্ধনে উপজেলাবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপজেলা হাসপাতালের পুর্নাঙ্গ কার্যক্রম চালুর দাবী জানিয়েছেন।

তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ছোটবগী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তৈফিকুজ্জামান তনু বলেন, পুর্নাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রম না থাকায় উপজেলার আড়াই লক্ষ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাধারণ রোগ হলেও তালতলীবাসীর আমতলী, বরগুনা, পটুয়াখালী ও বরিশালে যেতে হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দ্রুত পুর্নাঙ্গ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যক্রমের দাবী জানাই।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ও তালতলী ২০ শয্যা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, ওই হাসপাতালের ছয় জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে পাঁচ জন চিকিৎসক প্রেষনে নিয়োগ দেয়া আছে। কিন্তু ওই হাসপাতালের নামে অর্থনৈতিক কোড নেই। কোড না থাকায় বরাদ্দ পাচ্ছি না। অর্থনৈতিক কোডের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যন্ত্রাংশ না থাকায় পুর্নাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

আক্কেলপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

তালতলী পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল কার্যক্রমের দাবীতে অর্ধ লক্ষ মানুষের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৮:০৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০

বরগুনার তালতলী উপজেলা পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রমের দাবিতে একযোগে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানে অন্তত অর্ধ লাখ মানুষ মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচী পালন করেছে। সোমবার বেলা ১১ টায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ বৃষ্টি উপক্ষো করে এ মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষরে অংশগ্রহন করেছেন।

জানাগেছে, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে বিজয়ী হন। ওই সময়ে তিনি তালতলীকে উপজেলা ঘোষনা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রতি দেন। ২০০৩ সালে তালতলীতে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন করা হয়। ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তালতলী থানাকে উপজেলায় রুপান্তিত করেন। তালতলী উপজেলায় রুপান্তিত হলেও ১৭ বছরে পুর্নাঙ্গ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রুপ নেয়নি।

হাসপাতালের ছয়জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়নি। সমুদয় পদ খালী রয়েছে। প্রেষণে নিয়োগ দেয়া পাঁচ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। হাসপাতলাটি ২০ শয্যার হলেও এখন পর্যন্ত কোন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। এছাড়া ওই হাসপাতালের নামে অর্থনৈতিক কোড নেই। কোড না থাকায় হাসপাতালের নামে কোন বরাদ্দ পাচ্ছে না। বরাদ্দ না পাওয়ায় যন্ত্রাংশ কেনা যাচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। প্রেষণে নিয়োগ দেয়া চিকিৎসকরাও ঠিকমত হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এছাড়া এখনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নামে ঔষুধ বরাদ্দ নেই।

তালতলী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বরাদ্দকৃত ঔষুধ দিয়ে চলছে ২০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম। এ হাসপাতালে চিকিৎসক, চিকিৎসা যন্ত্রাংশ, ওষুধ সামগ্রী, অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় ইনডোর ও আউটডোর বন্ধ রয়েছে। এতে উপজেলার দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত কোন রোগীকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না।

দীর্ঘ ১৭ বছরে পুর্নাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রম চালু না হওয়ায় ফুসে উঠেছে তালতলীর সর্বস্থরের মানুষ। তাই পূর্নাঙ্গ হাসপাতালের দাবিতে গত এক মাস ধরে উপজেলার মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ভার্চুয়াল মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর অভিযান ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে সোমাবার বেলা ১১ টায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের তালতলী সদর,পচাঁকোড়ালিয়া, ছোটবগী, কচুপাত্রা, লাউপাড়া, কড়াইবাড়িয়া, ফকিরহাট, বারঘর, শানুর বাজারও নিদ্রাসকিনা বাজারসহ ১০টি জনগুরুত্বপুর্ণ স্থানে অন্তত অর্ধ লক্ষ মানুষ মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচী পালন করেছে। মানববন্ধনে উপজেলাবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপজেলা হাসপাতালের পুর্নাঙ্গ কার্যক্রম চালুর দাবী জানিয়েছেন।

তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ছোটবগী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তৈফিকুজ্জামান তনু বলেন, পুর্নাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রম না থাকায় উপজেলার আড়াই লক্ষ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাধারণ রোগ হলেও তালতলীবাসীর আমতলী, বরগুনা, পটুয়াখালী ও বরিশালে যেতে হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দ্রুত পুর্নাঙ্গ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যক্রমের দাবী জানাই।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ও তালতলী ২০ শয্যা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, ওই হাসপাতালের ছয় জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে পাঁচ জন চিকিৎসক প্রেষনে নিয়োগ দেয়া আছে। কিন্তু ওই হাসপাতালের নামে অর্থনৈতিক কোড নেই। কোড না থাকায় বরাদ্দ পাচ্ছি না। অর্থনৈতিক কোডের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যন্ত্রাংশ না থাকায় পুর্নাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না।