ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

তিন মাস পর বেনাপোল বন্দরের স্থলপথে কাঁচামাল আমদানি শুরু

করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে ভারত সরকারের লকডাউনে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় তিন মাস যাবত খাদ্যদ্রব জাতীয় কাঁচামাল আমদানি বন্ধ থাকার পর পূনরায় শুরু হয়েছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেেেছ কাঁচামাল ব্যবসায়ীদরে মধ্যে। সরকাররেও রাজস্ব আয় বড়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার(১৮ জুন) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সড়ক পথে ৩৯ ট্রাক খাদ্যদ্রব জাতীয় কাঁচামাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে পিয়াজ,ডালিম, পান পাতা ও মাছ

আমদানি,রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, এসব পণ্য করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউনে স্থলপথে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ ছিল। করোনার ভয়ে সড়ক পথে পণ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। পরে কয়েক দফা বৈঠকের পর স্বল্প পরিসরে রেল পথে কিছু কাঁচামাল দিতে রাজি হয়। এতে বড় ব্যবসায়ীদের সুবিধা হলেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লোকশান হচ্ছিল। অবশেষে স্থলপথে পূনরায় কাচামাল আমদানি শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সবার মাঝে।

বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা নাসিদুল হক জানান, প্রায় তিন মাস পর স্থলপথে ভারত থেকে ৩৯ ট্রাক খাদ্য দ্রব জাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ধীরে ধীরে বন্দরে আমদানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হচ্ছে। স্থল পথে কাঁচামাল আমদানি শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। দ্রুত যাতে তারা পণ্য খালাস নিতে পারেন তার জন্য সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ভারত সরকাররে লকডাউন ঘোষনায় গত ২২ র্মাচ থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হতে সব ধরনের পণ্য আমদানি, রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। পরর্বতীতে লকডাউন শিথিত হলে গত ০৭ জুন সড়ক পথে সাধারণ পণ্যের আমদানি শুরু হলেও খাদ্য দ্রব জাতীয়
পণ্যের আমদানি বন্ধ ছিল।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

রাহুল গান্ধীকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা

তিন মাস পর বেনাপোল বন্দরের স্থলপথে কাঁচামাল আমদানি শুরু

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০

করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে ভারত সরকারের লকডাউনে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় তিন মাস যাবত খাদ্যদ্রব জাতীয় কাঁচামাল আমদানি বন্ধ থাকার পর পূনরায় শুরু হয়েছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেেেছ কাঁচামাল ব্যবসায়ীদরে মধ্যে। সরকাররেও রাজস্ব আয় বড়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার(১৮ জুন) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সড়ক পথে ৩৯ ট্রাক খাদ্যদ্রব জাতীয় কাঁচামাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে পিয়াজ,ডালিম, পান পাতা ও মাছ

আমদানি,রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, এসব পণ্য করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউনে স্থলপথে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ ছিল। করোনার ভয়ে সড়ক পথে পণ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। পরে কয়েক দফা বৈঠকের পর স্বল্প পরিসরে রেল পথে কিছু কাঁচামাল দিতে রাজি হয়। এতে বড় ব্যবসায়ীদের সুবিধা হলেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লোকশান হচ্ছিল। অবশেষে স্থলপথে পূনরায় কাচামাল আমদানি শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সবার মাঝে।

বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা নাসিদুল হক জানান, প্রায় তিন মাস পর স্থলপথে ভারত থেকে ৩৯ ট্রাক খাদ্য দ্রব জাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ধীরে ধীরে বন্দরে আমদানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হচ্ছে। স্থল পথে কাঁচামাল আমদানি শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। দ্রুত যাতে তারা পণ্য খালাস নিতে পারেন তার জন্য সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ভারত সরকাররে লকডাউন ঘোষনায় গত ২২ র্মাচ থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হতে সব ধরনের পণ্য আমদানি, রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। পরর্বতীতে লকডাউন শিথিত হলে গত ০৭ জুন সড়ক পথে সাধারণ পণ্যের আমদানি শুরু হলেও খাদ্য দ্রব জাতীয়
পণ্যের আমদানি বন্ধ ছিল।