ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

তুমব্রু সীমান্তে ফের গোলাগুলি

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা।গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। তবে এতে হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, হঠাৎ করে শুক্রবার রাতে আবারও গোলাগুলি শুরু হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়েছেন কি না জানা যায়নি।

শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের কমিউনিটির নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, শূন্যরেখার আশপাশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। তবে নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা জানান, সীমান্তে গোলাগুলি হওয়ার কোনো তথ্য তিনি পাননি।

গত বুধবার মিয়ানমারের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা সংগঠনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শূন্যরেখায় গোলাগুলি হয়। ওই দিন হামিদ উল্লাহ (২৭) নামের একজন মারা যান। শিশুসহ দুজন আহত হন। গুলিবিদ্ধ আহত রোহিঙ্গা ব্যক্তি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এরপর ওই দিন বিকেলের দিকে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আগুন লাগানো হলে সাড়ে পাঁচ শতাধিক বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রাণ রক্ষায় অনেক রোহিঙ্গা কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে এবং আরও কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশের তুমব্রু স্কুলে আশ্রয় নেন। ওই শিবিরে ৬২১টি বসতঘরে ৪ হাজার ২০০ রোহিঙ্গা ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

আইএফআইসি ব্যাংক ও নেক মানি ট্রান্সফার ইউকে এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

তুমব্রু সীমান্তে ফের গোলাগুলি

আপডেট সময় : ০১:৩৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা।গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। তবে এতে হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, হঠাৎ করে শুক্রবার রাতে আবারও গোলাগুলি শুরু হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়েছেন কি না জানা যায়নি।

শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের কমিউনিটির নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, শূন্যরেখার আশপাশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। তবে নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা জানান, সীমান্তে গোলাগুলি হওয়ার কোনো তথ্য তিনি পাননি।

গত বুধবার মিয়ানমারের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা সংগঠনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শূন্যরেখায় গোলাগুলি হয়। ওই দিন হামিদ উল্লাহ (২৭) নামের একজন মারা যান। শিশুসহ দুজন আহত হন। গুলিবিদ্ধ আহত রোহিঙ্গা ব্যক্তি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এরপর ওই দিন বিকেলের দিকে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আগুন লাগানো হলে সাড়ে পাঁচ শতাধিক বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রাণ রক্ষায় অনেক রোহিঙ্গা কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে এবং আরও কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশের তুমব্রু স্কুলে আশ্রয় নেন। ওই শিবিরে ৬২১টি বসতঘরে ৪ হাজার ২০০ রোহিঙ্গা ছিলেন।