দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের বীরগঞ্জে পচিঁশ মাইল নামক স্থানে বিআরটিসি-চার্জার ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের মা-মেয়েসহ ৭জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় স্থানীয়রা।
রাস্তা কিছুক্ষন বন্ধ থাকার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
নিহতরা হলেন, নাসরিন বেগম(৫০) বীরগঞ্জ উপজেলার ভাবকির ইদ্রিস আলীর স্ত্রী, রুপা (৮) একই এলাকার ইদ্রিস আলীর মেয়ে, নার্গিস (৩২) বীরগঞ্জের আতিয়ার রহমানের স্ত্রী, আবুল হোসেন(৬০) একই এলাকার মৃত আব্দুল গনির ছেলে, আসমা খাতুন (৪৫) কাহারোলের আবুল হোসেনের স্ত্রী, লামিয়া (৮), একই এলাকার সোহানের মেয়ে। চার্জার ভ্যান চালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানায়।
সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের বীরগঞ্জ উপজেলার ২৫ মাইল নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সকলেই চার্জার ভ্যানের যাত্রী ও চালক ছিলেন।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে চার্জার ভ্যান রিজার্ভ নিয়ে আসমা খাতুন তার স্বামীর সাথে বীরগঞ্জের মোহাম্মদপুর ইউপির রনগাঁও গ্রামে অসুস্থ বাবাকে দেখতে রওনা দেয়। পথিমধ্যে তার বোন বীরগঞ্জের নাসরিন বেগম এবং এরপর আরেক বোন নার্গিসকে সাথে নিয়ে বাবার বাড়ীর উদ্দেসে চার্জার ভ্যান নিয়ে যায়। যাওয়ার প্রাক্কালে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের বীরগঞ্জ উপজেলার ২৫ মাইল নামক এলাকায় পঞ্চগড় থেকে রংপুরমুখী বিআরটিসি বাস চাপা দিলে চার্জারভ্যান ধুমড়ে-মুচরে যায়।
এতে ভ্যান চালকসহ সাতজনের মধ্যে ঘটনাস্থলেই চারজন আসমা, লামিয়া, নাসরিন ও রুপা মারা যায়। উদ্ধারকৃত গুরুতর আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়। আহতদের মধ্যে বীরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে অজ্ঞাত ভ্যান চালক মারা যায় এবং দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ২জন নার্গিস ও আবুল হোসেন মারা যায়। এসময় বিআরটিসি বাসটি ভ্যানকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশের এক গাছে ধাক্কা লাগে। এতে বাস যাত্রীরা কয়েকজন আহত হয়।
বীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল মতিন প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের বীরগঞ্জ উপজেলার ২৫মাইল নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। চার্জার ভ্যানে থাকা বিআরটিসি বাসের চাপায় চার্জার ভ্যান চালকসহ সাতজনই নিহত হন। এর মধ্যে মা-মেয়েসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়। বাসটি ভ্যানকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছ গিয়ে ধাক্কা লাগে।