ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

নন্দীগ্রামে মাদ্রাসার ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষক উধাও

বগুড়ার নন্দীগ্রামে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জনক মাদ্রাসা শিক্ষক মাহবুবুর রহমান (৪৩) বিরুদ্ধে। সে উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের গছাইল হাফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক এবং গছাইল গ্রামের মৃত আবু জাফরের ছেলে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ে করার বিষয়টি স্বীকার করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত ২৮ ফেব্রæয়ারি মাদ্রাসায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন ছিল। মাহফিল শেষে ওই ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান পালিয়ে যায়। পরে রাতে তার নিজ বাড়িতে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই শিক্ষক বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এঘটনায় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। শিক্ষক মাহাবুবুর রহমানের আগের স্ত্রীও তার ছাত্রী ছিল এবং তাকেও একই কায়দায় বিবাহ করে। তার সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। কিছুদিন আগে সে তার প্রথম স্ত্রীকে তালাকদেয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে গছাইল হাফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার বাকী বিল্লাহ’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, ২৮ ফেব্রæয়ারি মাদ্রাসায় বার্ষিক দোয়া মাহফিল ছিলো। সেদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষক মাহবুবুর রহমান মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলেন। পরে জানতে পারি তিনি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে। তিনি ছাত্রীকে বিয়ে করে ঠিক করেনি। এ বিয়েকে বাল্যবিয়ে হিসেবে গণ্যকরা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসেম আলী জানান, শিক্ষক মাহবুবুর রহমান ছাত্রীকে বিয়ে করেছে এ ঘটনা আমি শুনেছি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

নন্দীগ্রামে মাদ্রাসার ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষক উধাও

আপডেট সময় : ০৩:২৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩

বগুড়ার নন্দীগ্রামে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জনক মাদ্রাসা শিক্ষক মাহবুবুর রহমান (৪৩) বিরুদ্ধে। সে উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের গছাইল হাফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক এবং গছাইল গ্রামের মৃত আবু জাফরের ছেলে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ে করার বিষয়টি স্বীকার করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত ২৮ ফেব্রæয়ারি মাদ্রাসায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন ছিল। মাহফিল শেষে ওই ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান পালিয়ে যায়। পরে রাতে তার নিজ বাড়িতে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই শিক্ষক বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এঘটনায় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। শিক্ষক মাহাবুবুর রহমানের আগের স্ত্রীও তার ছাত্রী ছিল এবং তাকেও একই কায়দায় বিবাহ করে। তার সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। কিছুদিন আগে সে তার প্রথম স্ত্রীকে তালাকদেয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে গছাইল হাফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার বাকী বিল্লাহ’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, ২৮ ফেব্রæয়ারি মাদ্রাসায় বার্ষিক দোয়া মাহফিল ছিলো। সেদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষক মাহবুবুর রহমান মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলেন। পরে জানতে পারি তিনি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে। তিনি ছাত্রীকে বিয়ে করে ঠিক করেনি। এ বিয়েকে বাল্যবিয়ে হিসেবে গণ্যকরা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসেম আলী জানান, শিক্ষক মাহবুবুর রহমান ছাত্রীকে বিয়ে করেছে এ ঘটনা আমি শুনেছি।