ঢাকা ০১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

নেই প্রশাসনিক কোন পদক্ষেপ করোনা সংক্রমণের ঝুকিতে গাংনী

মেহেরপুরের গাংনীতে একের পর এক বেড়েই চলেছে করোনা রুগী। সামাজিক দুরত্ব বজায় মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই। আবার প্রশাসনিক কোন পদক্ষেপ না থাকায় যে যার মতো চলাচল করছে। ফলে গাংনী অঞ্চলটি করোনার সবচেয়ে ঝুকিপুর্ণ বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে গাংনীতে মোট ২৮ জন লোক করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগতদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ। প্রথম থেকেই স্বাস্থ্য বিভাগ বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছে। প্রথম প্রথম অনেকেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললেও এখন আর কেউ মানতে চাইছে না।

গাংনী উপজেলা প্রশাসন থেকেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। কারো কোন সতর্ক বার্তাও নেই। মাঝে মধ্যে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম জনগনকে সচেতন করা ও মাস্ক ব্যবহারে উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে। প্রশাসনিক পদক্ষেপ না থাকায় সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রশাসন।

এদিকে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না। আন্তঃজেলা বাসে কিছুটা মানা হলেও লেগুনা ও ইজিবাইকে কোন সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে পশুহাট খুলে দেয়ায় করোনা সংক্রমনে মারাত্বক ঝুকি দেখা দিয়েছে। রেড জোন এলাকার ব্যবসায়িরাও বামন্দি পশু হাটে আসছেন। এখান থেকেও করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি শতভাগ। এক্ষেত্রে পশুহাট বন্ধের পক্ষে মতামত দিয়েছেন অনেকেই।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করা হয়েছে। অভিযান চালানো হবে।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

নেই প্রশাসনিক কোন পদক্ষেপ করোনা সংক্রমণের ঝুকিতে গাংনী

আপডেট সময় : ০৫:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০

মেহেরপুরের গাংনীতে একের পর এক বেড়েই চলেছে করোনা রুগী। সামাজিক দুরত্ব বজায় মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই। আবার প্রশাসনিক কোন পদক্ষেপ না থাকায় যে যার মতো চলাচল করছে। ফলে গাংনী অঞ্চলটি করোনার সবচেয়ে ঝুকিপুর্ণ বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে গাংনীতে মোট ২৮ জন লোক করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগতদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ। প্রথম থেকেই স্বাস্থ্য বিভাগ বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছে। প্রথম প্রথম অনেকেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললেও এখন আর কেউ মানতে চাইছে না।

গাংনী উপজেলা প্রশাসন থেকেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। কারো কোন সতর্ক বার্তাও নেই। মাঝে মধ্যে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম জনগনকে সচেতন করা ও মাস্ক ব্যবহারে উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে। প্রশাসনিক পদক্ষেপ না থাকায় সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রশাসন।

এদিকে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না। আন্তঃজেলা বাসে কিছুটা মানা হলেও লেগুনা ও ইজিবাইকে কোন সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে পশুহাট খুলে দেয়ায় করোনা সংক্রমনে মারাত্বক ঝুকি দেখা দিয়েছে। রেড জোন এলাকার ব্যবসায়িরাও বামন্দি পশু হাটে আসছেন। এখান থেকেও করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি শতভাগ। এক্ষেত্রে পশুহাট বন্ধের পক্ষে মতামত দিয়েছেন অনেকেই।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করা হয়েছে। অভিযান চালানো হবে।