জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ এর পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবীতে দিনাজপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বেসরকারী কলেজ অনার্স মার্স্টাস শিক্ষক ফোরাম, দিনাজপুর শাখা।
গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বেসরকারী কলেজ অনার্স মার্স্টাস শিক্ষক ফোরাম দিনাজপুর শাখার আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ এর পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবী জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মো: মেহেরাব আলী।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর উচ্চ শিক্ষা অধ্যায়-৮, কৌশল-৬ এ বলা হয়েছে পর্যায়ক্রমে ডিগ্রী পাশ কোর্স তুলে দিয়ে ৪ বছর মেয়াদী ডিগ্রি অর্নাস (সন্মান) কোর্স চালু করা হবে। এটা যদি সরকারের পলিসি বা শিক্ষানীতি হয় তাহলে অনার্স কোর্সের শিক্ষকদেরকে কেন জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালার বাহিরে রাখা হবে, কেন এমপিও ভুক্ত করা হবে না ? একই নিয়ম ও পদ্ধতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ডিগ্রি (পাস) ৩য় পদের শিক্ষকগণ এমপিওভুক্ত হতে পারেন। একই যোগ্যতায় একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে জাতীয়করণের আওতায় ৩২০ কলেজের অধিকাংশ ডিগ্রি কলেজের অর্নাস কোর্সের শিক্ষকগণ আত্বীয়করণের আওতায় প্রক্রিয়াধীণ। তাহলে আমাদের অপরাধ কি? কেন আমরা এমপিওভুক্ত হতে পারবো না। একই কলেজে েেকহ এমপিওভুক্ত,কেহ ২৮ বছর নন এমপিও,একই বিষয়ে এই দ্বৈতনীতির অবসান চাই।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো: জাহেদুল ইসলাম জাহিদ,মো: হবিবুর রহমান,মহাদেব শর্মা, নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৪দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে অনার্স মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগপ্রাপ্ত ননএমপিও শিক্ষকদেরকে জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮তে অর্ন্তভ’ক্ত করতে হবে, ৫ হাজার শিক্ষকের জন্য ১৪৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্ধ দিয়ে অতিদ্রুত অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদেরকে অর্ন্তভুক্ত করতে হবে ও বর্তমান করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের মানবেতর জীবন হতে কাটিয়ে উঠতে বিশেষ প্রণোদনা ঋন ১২ শত কোটি টাকা বরাদ্ধ দিতে হবে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদকে পদত্যাগ করতে হবে ।