ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

পদ্মা এগ্রো কোম্পানির আগাছানাশকে পুরে গেছে কৃষকদের গমের মাঠ

ভুল আগাছানাশক ব্যবহার করে সর্বশান্ত কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার গম চাষি কৃষকরা। পুড়ে গেছে প্রায় ২০ বিঘা জমির গম ক্ষেত। ভুল কীটনাশকে ফসল পুরে যাওয়া কৃষকরা কীটনাশক ডিলার নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী কৃষকরা। অভিযোগের ভিত্তিতে রাজিবপুর উপজেলার উপ,সহকারী কৃষি অফিসার জহুরুল ইসলামসহ ৪জনের একটি টিম ক্ষতিগ্রস্ত পুরে যাওয়া কৃষকের ফসলের মাঠ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এমন ঘটনাটি ঘটেছে রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী নয়াপাড়া এলাকা নামকস্থানে।এঘটনায় কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ প্রমাণ পেয়েছি অভিযুক্ত কীটনাশক ডিলারশিপ উধ্বর্তন কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী, নয়াপাড়া গ্রামের গম চাষি কৃষক ইজ্জত আলী, সোনা মিয়া, আঃ রশিদ, সুরুজ্জামান,বাছেদ, নুরুল ইসলাম,সাইদুর রহমান,রফিকসহ আরো অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। ইজ্জত আলী জানান নিজের জমাজমি না থাকায় ৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে গম চাষ করেছি। গমের জমির আগাছা মারতে স্থানীয় বালিয়ামারী বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম কীটনাশক ডিলাম তার কাছে আগাছানাশক চাইলে তিনি পদ্মা কোম্পানির গেøাডিনা কীটনাশক আমাদের দেন। সেই আগাছানাশক পদ্মা এগ্রো কোম্পানি লিমিডেট এর ২৪ ইসি গেøাডিনা কীটনাশক গম ক্ষেতে স্প্রে করেছি। ইজ্জত আলী বলেন ৪দিন পর ক্ষেতে গিয়ে দেখি ৪ বিঘা জমির গম পুরে ছাই হয়েছে। এরপর কীটনাশক ডিলার নজরুল ইসলামের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন কৃষক ইজ্জত আলীসহ ক্ষতিগ্রস্তরা। এ বিষয়ে রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ইজ্জত আলী -সোনা মিয়াসহ আরো অনেকেই ।ভুল আগাছানাশক পেয়োগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগের বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তিনি বলেন কৃষকরাও পন্ডিত আমাদের পরার্মশ ছাড়াই ডিলারদের পরামর্শে ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা। কৃষকদের সচেতনতার আভাব রয়েছে এটি শুধু রাজিবপুরেই নয় সারাদেশেই এধরনের সমস্যা হচ্ছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

পদ্মা এগ্রো কোম্পানির আগাছানাশকে পুরে গেছে কৃষকদের গমের মাঠ

আপডেট সময় : ০২:৩৮:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

ভুল আগাছানাশক ব্যবহার করে সর্বশান্ত কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার গম চাষি কৃষকরা। পুড়ে গেছে প্রায় ২০ বিঘা জমির গম ক্ষেত। ভুল কীটনাশকে ফসল পুরে যাওয়া কৃষকরা কীটনাশক ডিলার নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী কৃষকরা। অভিযোগের ভিত্তিতে রাজিবপুর উপজেলার উপ,সহকারী কৃষি অফিসার জহুরুল ইসলামসহ ৪জনের একটি টিম ক্ষতিগ্রস্ত পুরে যাওয়া কৃষকের ফসলের মাঠ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এমন ঘটনাটি ঘটেছে রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী নয়াপাড়া এলাকা নামকস্থানে।এঘটনায় কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ প্রমাণ পেয়েছি অভিযুক্ত কীটনাশক ডিলারশিপ উধ্বর্তন কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী, নয়াপাড়া গ্রামের গম চাষি কৃষক ইজ্জত আলী, সোনা মিয়া, আঃ রশিদ, সুরুজ্জামান,বাছেদ, নুরুল ইসলাম,সাইদুর রহমান,রফিকসহ আরো অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। ইজ্জত আলী জানান নিজের জমাজমি না থাকায় ৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে গম চাষ করেছি। গমের জমির আগাছা মারতে স্থানীয় বালিয়ামারী বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম কীটনাশক ডিলাম তার কাছে আগাছানাশক চাইলে তিনি পদ্মা কোম্পানির গেøাডিনা কীটনাশক আমাদের দেন। সেই আগাছানাশক পদ্মা এগ্রো কোম্পানি লিমিডেট এর ২৪ ইসি গেøাডিনা কীটনাশক গম ক্ষেতে স্প্রে করেছি। ইজ্জত আলী বলেন ৪দিন পর ক্ষেতে গিয়ে দেখি ৪ বিঘা জমির গম পুরে ছাই হয়েছে। এরপর কীটনাশক ডিলার নজরুল ইসলামের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন কৃষক ইজ্জত আলীসহ ক্ষতিগ্রস্তরা। এ বিষয়ে রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ইজ্জত আলী -সোনা মিয়াসহ আরো অনেকেই ।ভুল আগাছানাশক পেয়োগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগের বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তিনি বলেন কৃষকরাও পন্ডিত আমাদের পরার্মশ ছাড়াই ডিলারদের পরামর্শে ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা। কৃষকদের সচেতনতার আভাব রয়েছে এটি শুধু রাজিবপুরেই নয় সারাদেশেই এধরনের সমস্যা হচ্ছে।