ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

পাবনায় তানজিব হত্যার প্রতিবাদে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন

পাবনা পৌরসভার রামচন্দ্রপুর মহল্লার বাবু শেখ’র ছেলে তানজিব হত্যার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার স্বজনরা। বৃহস্পতিবার দুুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, তানজিব সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে এলাকায় এলপি গ্যাস সিলিন্ডার এজেন্ট ও জেন্ট পার্লারে সেলুনের ব্যবসা করতো। পাশাপাশি যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সমৃক্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৭’ জুলাই ) রাতে তার সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স’র সাথে দেখা করতে যাচ্ছিল। পথি মধ্যে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় তানজিবকে মারপিট করা হয়। তারপরের দিন সুইচ গেট এলাকায় তাকে আবরও গুলি করে হত্যা দেখানো হয়।

পাবনা পুলিশ প্রশাসন তানজিব সম্পর্কে তদন্ত ও যাচাই বাছাই ছাড়াই সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তার গায়ে সন্ত্রাসী তকমা লাগিয়ে বন্দুকযুদ্ধের নাম করে গুলি করে হত্যা করে। সেখান থেকে ১টি পিস্তল ও ১টি রিভলবার উদ্ধার করা হয়। এমনকি তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ ৫টি হত্যা মামলা রয়েছে বলা হয়। অথচ পরিবারের দাবি তার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ২টি মারপিটের মামলা আছে।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিহত তানজিবের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনের এই বর্বর ও নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী অফিসারদের শাস্তির জন্য প্রার্থনা জানান।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

পাবনায় তানজিব হত্যার প্রতিবাদে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০

পাবনা পৌরসভার রামচন্দ্রপুর মহল্লার বাবু শেখ’র ছেলে তানজিব হত্যার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার স্বজনরা। বৃহস্পতিবার দুুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, তানজিব সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে এলাকায় এলপি গ্যাস সিলিন্ডার এজেন্ট ও জেন্ট পার্লারে সেলুনের ব্যবসা করতো। পাশাপাশি যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সমৃক্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৭’ জুলাই ) রাতে তার সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স’র সাথে দেখা করতে যাচ্ছিল। পথি মধ্যে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় তানজিবকে মারপিট করা হয়। তারপরের দিন সুইচ গেট এলাকায় তাকে আবরও গুলি করে হত্যা দেখানো হয়।

পাবনা পুলিশ প্রশাসন তানজিব সম্পর্কে তদন্ত ও যাচাই বাছাই ছাড়াই সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তার গায়ে সন্ত্রাসী তকমা লাগিয়ে বন্দুকযুদ্ধের নাম করে গুলি করে হত্যা করে। সেখান থেকে ১টি পিস্তল ও ১টি রিভলবার উদ্ধার করা হয়। এমনকি তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ ৫টি হত্যা মামলা রয়েছে বলা হয়। অথচ পরিবারের দাবি তার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ২টি মারপিটের মামলা আছে।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিহত তানজিবের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনের এই বর্বর ও নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী অফিসারদের শাস্তির জন্য প্রার্থনা জানান।