পীরগঞ্জে যৌতুকের টাকা আদায়ে পাষন্ড স্বামী জুয়েল মিয়া (৩৫) তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম মুন্নীর (২৮) হাত-পা বেঁধে মারধর করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহবধুকে হাত বাঁধা আহত অবস্থায় উদ্ধার করলে গৃহবধুর পরিবার তাকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের কাজীরপাড়া গ্রাম থেকে আহত ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই জুয়েলের পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের কাজীরপাড়ার মৃত. ডিপটি মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নং ওয়ার্ডের ধর্মদাস মিলনপাড়ার নুরুল ইসলামের মেয়ে নুরুন্নাহার বেগম মুন্নিকে বিয়ে করে। তাদের ১০ বছরে সংসারে ১ ছেলে সন্তান জন্ম নেয়।
বিয়ের পর জুয়েলকে মোটা অংকের যৌতুক দিলেও আরও ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে মুন্নিকে প্রায়ই মারধর করে। অসহায় মুন্নির পরিবার ওই টাকা দিতে ব্যর্থ হলে মুন্নিকে শারিরীক নির্যাতনে তার শ্বশুরবাড়ীর লোকজনও অংশ নেয়। একপর্যায়ে আজ সোমবার সকালে মুন্নির স্বামী, ননদ, ভাসুর, চাচী শ্বাশুরীসহ কয়েকজন মুন্নির হাত-পা বেঁধে বেদম মারপিট করে বাড়ীতেই ফেলে রাখে।
এ খবর পেয়ে মুন্নির বাবার বাড়ীর লোকজন পীরগঞ্জ থানার পুলিশের সহযোগিতা হাত বাঁধা অবস্থায় মুন্নিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে মুন্নীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এ ঘটনায় মুন্নির বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। মামলার বাদী মুন্নীর বাবা নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানায়, আমার মুন্নির মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এসে দেখি তাকে হাত-বেঁধে বাড়ীর ভিতরে ফেলে রাখা হয়েছে।
এসআই সুশীল রায় জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই গৃহবধুকে হাত বাঁধা অবস্থায় জুয়েলের বাড়ীর ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি (তদন্ত) মাসুমুর রহমান বলেন, ঘটনাটি নির্মম। অভিযোগ পেয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।