আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে দিন কাটাচ্ছে বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত শিশু হোসাইন শেখ (১৩)। হামলার ২৫ দিন পার হলেও দাপটের সাথে এলাকায় ঘূরে বেড়াচ্ছে হামলাকারীরা। উল্টো আহত হোসাইনের পরিবারকে হুমকী ধামকী দিচ্ছেন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। মামলার এতদিন পরেও মূল আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিশু হোসাইনের চাচা ও মামলার বাদী মোঃ আবু তালেব শেখ।
মামলার বাদী মোঃ আবু তালেব শেখ বলেন, ১৩ জুন বিকেলে বাজার থেকে আশার পথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের আনোয়ার শেখ, আউলিয়া ওরফে জাবেদ শেখ, রফিক শেখসহ কয়েকজন আমার বড় ভাই হামিজ উদ্দিন শেখ ও তার শিশু সন্তান হোসাইন শেখের উপর হামলা করে।
তারা রামদা দিয়ে আমার ভাতিজার মাথায় কোপ দেয়, লোহার রডের বাড়িতে আমার ভাইয়ের হাত ভেঙ্গে যায়। আমার ভাইয়ের কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মূমূর্ষ অবস্থায় আমার ভাই ও ভাতিজাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। ১৪ জুন আউলিয়া ওরফে জাবেদ শেখসহ ১৪ জনকে আসামী করে চিতলমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করি। কিন্তু মামলার ২৫ দিন পার হলেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনি।
উল্টো মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আসামীরা আমাদের হুমকী ধামকী দিচ্ছে। আমাদের বাড়ির অন্যান্য শিশুরা রাস্তায় বের হলে তাদেরকে মারধর করে। এই অবস্থায় যেকোন মূল্যে আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
মোঃ আবু তালেব শেখ আরও বলেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা আউলিয়া ওরফে জাবেদ শেখ সরকার দলীয় লোকদের ছত্র ছায়ায় থেকে যা ইচ্ছে তাই করছে। আমার ভাই-ভাতিজাকে মেরেই তারা খ্যান্ত হয়নি। আমাদেরকেও মারার পায়তারা করছে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরীফুল হক বলেন, পিতা-পুত্র আহতের মামলায় বেশ কয়েকজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।